নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ সরকার নিয়ন্ত্রিত স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশন তথা গৃহশিক্ষকতা বন্ধের দাবী জানিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ডেপুটেশন দিল পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি। বুধবার সংগঠনের প্রায় শতাধিক সদস্য তাদের দাবীদাওয়া নিয়ে বাঁকুড়া শহরের স্কুলডাঙ্গার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে তাদের স্মারকলিপি তুলে দেন। পশ্চিমবঙ্গ গৃহশিক্ষক কল্যাণ সমিতি বাঁকুড়া জেলা ইউনিট পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও আজও বহু সরকারী স্কুলের শিক্ষক দাপিয়ে টিউশন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরফলে একদিকে যেমন শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীদের রুটি-রুজি মার খাচ্ছে তেমনি স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে টিউশন পড়ার প্রতি ঝোঁক বাড়ছে পড়ুয়াদের। এমনও অভিযোগ উঠেছে যে বহু স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়াতে পরীক্ষার আগে প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে পক্ষপাতীত্ব করছেন। ফলে পড়ুয়াদের জেদে তাদের অভিভাবকরাও তাদের পছন্দের জায়গাতেই টিউশন দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে এর আগেও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানানো হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই বুধবার ফের পশ্চিমবঙ্গ গৃহ শিক্ষক কল্যাণ সমিতি তরফে স্কুল শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের দাবিতে ডেপুটেশ্ন দিলেন। তাঁরা জানান, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন। অন্যদিকে একই দিনে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ব্লকের গদারডিহি গ্রাম পঞ্চায়েতে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিজেপির পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত ঘেরাও করে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। তাদের অভিযোগ ১০০ দিনের কাজ গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ ও আবাসন নির্মানে ব্যাপক দুর্নীতি এবং পক্ষাপাতিত্ব করছে শাসক দল। তৃণমূল পরিচালিত এই পঞ্চায়েতে নিজেদের পছন্দসই মানুষকে কাজে নিয়োগ এবং আবাসনের ক্ষেত্রে নিজেদের চেনা মানুষজনকে আবাসন করে দেওয়া হলেও তাদের কাছ থেকেও বেআইনিভাবে ৫ হাজার আবার কারোর কাছ থেকে ১০,০০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপির। মূলত এই অভিযোগ তুলেই বুধবার পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।