eaibanglai
Homeএই বাংলায়সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ আইসিডিএস কর্মী সমিতির বাঁকুড়া জেলার সংগঠনের পক্ষ থেকে...

সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ আইসিডিএস কর্মী সমিতির বাঁকুড়া জেলার সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন কর্মসূচি

সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- নিজেদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায়ে যখন রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠন পথে নেমে আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন তখন পিছিয়ে নেই সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আইসিডিএস কর্মী সমিতিও। এদিন বাঁকুড়া জেলা সংগঠনের পক্ষ থেকে তারাও আজ বাঁকুড়া জেলা শাসকের কাছে ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করলেন। আজকে মূলত তাদের দাবি ছিল ১. আইসিডিএস কর্মী ও সহায়িকা দের ন্যূনতম মজুরি ২১ হাজার টাকা দিতে হবে। ২. ৬৫ বছর বয়সে অবসর দিলে ১০ হাজার টাকা পেনশন দিতে হবে। ৩. আইসিডিএস কর্মীদের দিয়ে কোন বাড়তি কাজ করানো চলবে না। বাড়তি কাজের বাড়তি পারিশ্রমিক দিতে হবে। ৪. জ্বালানি এবং বাড়তি ডিমের দাম ছাতু সোয়াবিন থেকে ঘাটতি পূরণ করতে হয় সেজন্য ছাতু এবং সোয়াবিন সাপ্লাই বন্ধ করতে হবে। ৫. নাগরিকত্ব আইন বাতিল করো ও সংবিধান রক্ষা করো সবার জন্য কাজ চাই।। ৬. মহিলাদের বিনা মজুরির শ্রমকে স্বীকৃতি দিতে হবে।। ৭. শ্রমজীবী মহিলাদের ন্যূনতম মজুরি ২১ হাজার টাকা ও সমান কাজে সমান মজুরি প্রদান করতে হবে। ৮. প্রকল্প কর্মীদের কর্মীর মর্যাদা দিতে হবে।। ৯. মিড ডে মিল কর্মীদের পরিচিতি পত্র দিতে হবে।। ১০. আমাদের রাজ্যে অস্থায়ী শিক্ষিকা মহিলা শিক্ষা কর্মী ও অন্যান্য সরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত অস্থায়ী মহিলা কর্মীদের ৭৩০ দিনের চাইল্ড কেয়ার লিভ দিতে হবে। এই ধরনের একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে জেলাশাসকের দপ্তরে সামনে তারা বিক্ষোভে সামিল হন এবং তাদের একটি প্রতিনিধি দল দাবি সম্বলিত সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা শাসকের হাতে তুলে দেন । এক আইসিডিএস কর্মী বলেন, যেহেতু ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে কেন্দ্র করে সারা ভারতবর্ষে কর্মীরা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। আমাদের প্রকল্পকে বেসরকারিকরণ করার প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে তার বিরুদ্ধে এবং মূলত এন আর সি ও এন পি আর এর বিরুদ্ধে এবং সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে শ্রমিকের ন্যূনতম বেতন ২১ হাজার টাকা হওয়া উচিত সেই ২১ হাজার টাকার দাবি নিয়ে আমাদের এই ডেপুটেশন কর্মসূচি। এক সিপিএম নেতা প্রদীপ মুখার্জী বলেন, জেল ভরো আন্দোলন আইন অমান্য আন্দোলন গন ডেপুটেশন এই কর্মসূচি নিয়েছে শ্রমজীবী মহিলারা। আসলে মহিলাদের বঞ্চনা চলছে, সমান অধিকার নেই, অন্যদিকে মহিলাদের উপর আক্রমণ হচ্ছে এর পাশাপাশি ভ্রুণ হত্যা হচ্ছে আর সে কারণেই শ্রমজীবী মহিলাদের এই আন্দোলন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments