eaibanglai
Homeএই বাংলায়কাঁকসায় সাড়ম্বরে শুরু দানবাবার মেলা

কাঁকসায় সাড়ম্বরে শুরু দানবাবার মেলা

নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঁকসাঃ ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের শেষ দিকে বেশ কিছু ফকির ঈশ্বরের বাণী প্রচারে ও এলাকার মানুষের কল্যাণে বিভিন্য এলাকায় ঘুরে বেড়াতে থাকে। তেমনই একজন হলেন সৈয়দ পাহাড়ি শাহ ওরফে দান বাবা। শোনা যায় পানাগড়ের এলাকায় এলাকায় তিনি ঘুরতেন এবং মানুষের কাছে ঈশ্বরের বাণী প্রচার করতেন। দিনের শেষে কাঁকসায় বর্তমানে যেখানে দানবাবা মাজার আছে সেখানেই তিনি রাত্রি যাপন করতেন। শোনা যায় বহু মানুষ তার কাছে ভিড় জমাতেন তার আশীর্বাদ পাবার জন্য। লোকশ্রুতি আছে এলাকার কোন এক ব্যক্তি দানবাবার কাছে আসেন এবং তার কষ্টের কথা জানান । সঙ্গে তার দুরারোগ্য ব্যাধির কথাও জানান। বাবা তার কষ্টের নিবারণ করেন । তার পর থেকেই বাবার প্রতি এলাকার মানুষের ভক্তি শ্রদ্ধা বেড়ে যায় । একই সাথে ক্রমশ এলাকার মানুষ নিজেদের সমস্যার কথা নিয়ে আসেন তার কাছে। এলাকার মানুষ বলেন বাবা কারোক্ষে ফেরাতেন না । তিনি দানি ছিলেন ।যার কারণে নাম হয় দানবাবা।পরে ১৯৬০ সালে তিনি দেহ রাখলে এলাকার মানুষ ওই জায়গায় তাকে সমাধি দেন। পরে ধীরে ধীরে ভক্তিদের ভিড় বাড়লে ওই জায়গায় মেলা বসতে শুরু করে।যা আজ বিশাল আকার ধারণ করেছে। এলাকার মানুষ মনে করেন তিনি আজও জীবিত আছেন। এবং এলাকার মানুষের কল্যাণ করে চলেছেন। তাই আজও নিয়ম করে গোলাপ জল,নকুল দানা,সুগন্ধি ধুপ দেওয়া হয় তাকে। এলাকার মানুষ বলেন কারও কোনো সমস্যা থাকলে এলাকার মানুষ বাবার পছন্দের মতো ওই সব জিনিস নিয়ে বাবার কাছে মানসিক করেন পরে ফল পেলে বাবার সমাধিতে নতুন চাদর দেন। প্রতি বছরের মত মার্চ মাসে বাবার সমাধিস্থল এর পাশে মেলা বসে। ধুমধাম করে হয় উৎসব। শুধু পানাগড়ের মানুষ নয় রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকেও ভক্ত রা ভিড় জমান এখানে। মেলা কমিটির সদস্যরা বলেন মেলা মনে একটা মিলন স্থল। এই মেলায় শুধু ইসলাম ধর্মের মানুষ না এখানে সব ধর্মের মানুষ আসেন । তারা বাবার কাছে মানসিক করেন । আর এই ভাবেই চলে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments