eaibanglai
Homeএই বাংলায়জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো , আতঙ্ক পারাপার ক্ষুদে পড়ুয়া থেকে গ্রামবাসিদের

জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো , আতঙ্ক পারাপার ক্ষুদে পড়ুয়া থেকে গ্রামবাসিদের

সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া : দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল হয়ে পরেছে বাঁশের সাঁকো । রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্বাস্থ্য হয়ে পরেছে জরাজীর্ণ । কোন রকমে পারাপার করতে হচ্ছে ক্ষুদে পড়ুয়া থেকে সাধারন মানুষ সকলকেই । এছবি বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থানার নারায়নপুর অঞ্চলের বাঁকশিলামানা গ্রামের । সাঁকোর ওপারে ৬০ – ৭০ টি পরিবারের বসববাস । প্রতিদিন তাদের পরিবারের সদস্য থেকে পড়ুয়াদের স্কুল কলেজে যেতে গেলে একমাত্র ভরসা এই সাঁকোটি । তাই একপ্রকার প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হচ্ছে তাদের । আবার ছাত্রীদের সাইকেল নিয়ে পারাপার করতে অসুবিধা হয় বলে তারা নদী দিয়েই পারাপার হচ্ছে । তবে নদীতে জল চলে এলে তাদের স্কুল টিউশনি সবই নাকি বন্ধ হয়ে যায় । দামোদর নদীর শাখা নদীর উপর তৈরী হয়েছে এই বাঁশের সাঁকোটি । সাধারনত ডিভিসি ও বর্ষার জলে পুষ্ঠ এই নদী । তবে এবছর এখনও সেই অর্থে বঙ্গে বর্ষার দেখা মেলেনি , অন্যদিকে ডিভিসিও এবার জল ছাড়েনি । ফলে এই মুহূর্তে রুখাশুখা অবস্থায় রয়েছে নদীটি । সাঁকোটি একদিকে যেমন হেলে গিয়েছে আবার অন্যদিকে খুঁটিও ভেঙে গিয়েছে আবার কোথাও কোথাও তিন থেকে চার ইঞ্চি করে বাঁশ ভেঙে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে । সব মিলিয়ে আতঙ্কের পারাপারে পরিণত হয়েছে সাঁকোটি । স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ভোটের আগে শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল ভোটের পর এই বেহাল সাঁকোটি ভেঙে এখানে একটি নতুন পাকা সেতু করা হবে । কিন্তু ভোট মিটতেই তাদের নাকি আর দেখা নেই ।এই নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরাও স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবু দিগার বলেন , তৃণমূল প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়না । এক স্থানীয় বাসিন্দা অমলচন্দ্র হালদার বলেন , এবছর এখনও বর্ষা আসেনি তাই আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে পারছে । কিন্তু নদীতে জল চলে এলে স্কুল কলেজ সবকিছুই বন্ধ হয়ে যাবে । তাদের দাবি তারনাকি বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েছে কিন্তু তার পরেও কোন কাজ হয়নি । বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে এখানে একটি পাকা সেতু নির্মান করা হোক সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারাও । এবিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান তোতন মল্লিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন , আমাদের কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা দরখাস্ত জমা করেছেন , আমরা বর্ষার আগেই কাজ শুরু করে দেবো । তবে আবারও আশ্বাসতো পাওয়া গেলো এখন দেখার বিষয় কবে এই সমস্যার সমাধান হয় ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments