সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ- ভরদুপুরে শহর বর্ধমানের বুকে ৩২ কেজি সোনা লুঠ করে পালাল সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। পালাবার সময় বাধা পেয়ে তারা ৬ রাউন্ড গুলি চালায়। ডাকাতদের একজনকে জাপ্টে ধরে ফেলা এক টোটো চালক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পর পর দুটি গুলি তার বুক ও কোমর ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভিড়ে ঠাসা বিসি রোডের একটি দ্বিতল বাড়ির ওপর তলায় একটি বেসরকারি গোল্ড লোন সংস্থার শাখা। সেখানেই বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ খরিদ্দার সেজে মাথায় হেলমেট পড়ে ঢুকলো ৬ দুষ্কৃতীর। ঢুকেই নিরাপত্তারক্ষীর মাথায় পরিয়ে দিল হেলমেট। তারপর গেট লক করে ব্রাঞ্চের ৯ কর্মীকে বেধড়ক মার আর ম্যানেজারের মুখে ঢুকিয়ে দিল পিস্তলের নল। এরপর হিন্দিতে তারা চাবি দিতে হুকুম করল। তারপর ভল্ট খুলে লুঠ করল ৩২ কেজি সোনা, যার বাজার দর ১৬ কোটি টাকা।
এদিকে, লুঠ চালানোর সময়ই সংস্থার কর্মীরা তিনবার সাইরেন বাজিয়ে পুলিশের সাহায্য চান। এই সময় ওই ব্রাঞ্চে ঋণের কিস্তি জমা দিতে যাচ্ছিলেন সংস্থার প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী হিরামন মন্ডল। সাইরেন শুনে তিনি আন্দাজ করেন ব্রাঞ্চে ডাকাতি হচ্ছে। তিনি দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় দুষ্কৃতী দলটির মুখোমুখি হন। জাপটে ধরেন একজন কে। তার কাছেই ছিল লুঠের ব্যাগ। হিরামনকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় আনে দুষ্কৃতীরা। তখনই তারক বসু নামে আরেকজন জনমজুর হিরামনের সাথে যোগ দিলে অন্য এক দুষ্কৃতী এসে পর পর গুলি চালায়। দুটি গুলি হিরামনের কোমরে ও বুক ছুঁয়ে যায়। আহত অবস্থায় তিনি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বর্ধমানের সরাইটিকর এলাকায় থাকেন এবং নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি ছাড়ার পর একটি টোটো কিনে চালাচ্ছিলেন গত ডিসেম্বর থেকে।
ঘটনার পর ব্রাঞ্চে আছেন পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জি। তিনি জানান ” দিনের বেলায় এমন দুঃসাহসিক ঘটনা কারা ঘটালো খোঁজ চলছে। আমরা সীমান্ত সিল করে দিয়েছি, যাতে দুষ্কৃতীরা পালাতে না পারে।