eaibanglai
Homeএই বাংলায়বর্ধমানে দুই বন্দির মৃত্যু, জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য

বর্ধমানে দুই বন্দির মৃত্যু, জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য

সংবাদদাতা, বর্ধমান:- বর্ধমান সংশোধনাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মহিলা বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টা ৪০ নাগাদ সংশোধনাগারের দোতলায় মহিলা ওয়াের্ডর শৌচাগারে তাঁকে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। বন্দি মৃত্যুর বিষয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। চতুর্থ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনী কাশ্যপের উপস্থিতিতে মৃতদেহের সুরতহাল করা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি ভিডিও রেকির্ডং করে রাখা হয়। বন্দি মৃত্যুর বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন ও কারাদপ্তরে খবর পাঠানো হয়েছে। এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান। তবে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট না মেলা পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু জানাতে চায়নি পুলিস। মৃতার নাম সীমা বক্সি ওরফে চক্রবর্তী। হুগলির রিষড়ার ২ নম্বর কলোনি মোড়ে তাঁর বাড়ি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে খুন ও প্রমাণ লোপাটের মামলায় শ্রীরামপুরের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক তাঁকে যাবজ্জীবন সাজা দেন। তারপর থেকে তিনি হুগলি সংশোধনাগারে ছিলেন। এ বছরের ২৪ আগস্ট তাঁকে বর্ধমান সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। বন্দির আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পাহারাদারদের নজর এড়িয়ে কিভাবে তিনি আত্মঘাতী হলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ অবশ্য এনিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।
অন্যদিকে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিস সেলে সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম বিজন বন্দ্যোপাধ্যায় (৬৫)। উত্তর ২৪ পরগণার দমদম এয়ারপোর্ট থানার কৈখালি সর্দারপাড়ায় তাঁর বাড়ি। ৩১ আগস্ট রাতে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান। তাঁর মৃত্যু নিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে বর্ধমান থানায়। দ্বিতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কল্লোল ঘোষকে বন্দি মৃত্যু নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০০৫ সালে সরকারি অর্থ আত্মসাত ও দুর্নীতি সংক্রান্ত পার্ক স্ট্রিট থানার একটি মামলায় তাঁর সাজা হয়। বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য মৃতদের পরিবারের লোকজনকে খবর পাঠানো হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments