এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ- সারা দেশ তথা রাজ্যে চলছে লকডাউন। মারণ রোগ করোনা ভাইরাসের দাপটে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন বহু মানুষ। সংক্রমণের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গোটা বিশ্বজুড়ে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গাকে রেড জোন, অরেঞ্জ জোন ও গ্রীণ জোনে ভাগ করে রাখা হয়েছে।
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে একমাত্র কোভিড-১৯ হাসপাতাল, সনোকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আশেপাশের পাঁচটি জেলার একমাত্র কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। করোনা সংক্রমণ কালে সনোকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের উল্লেখযোগ্য চিকিৎসায় ইতিমধ্যেই প্রায় ৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে তাদের নিজেদের বাড়ি ফিরে গেছেন। গত কদিন আগে একজনও রোগী ছিলেন না এই হাসপাতলে। সবাইকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল সুস্থ করে। কিন্তু করোনা সংক্রমনের জেরে আবার বীরভূমের ময়ূরেশ্বর, মাল্লারপুর, পূর্ব বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদ থেকে চার জন রোগী এখানে ভর্তি হয়েছেন চিকিৎসার জন্য। আশেপাশের পাঁচটি স্বাস্থ্য জেলা যেমন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও পুরুলিয়ার সমস্ত করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতাল কে নির্বাচিত করা হয়েছিল। কিন্তু সি.এম.ও.এইচ বীরভূম ও সি.এম.ও.এইচ রামপুরহাটের অনুরোধে তাদের এলাকার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো করোনা চিকিৎসার নেই বলে এই হসপিটালকে অনুরোধ করেন তাদের এলাকার রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য।
আজ সূত্র থেকে জানা গেছে যে শিল্পাঞ্চলের একমাত্র কোভিড-১৯ হাসপাতাল, সনোকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে থেকে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর এক জন, বীরভূমের মাল্লারপুরের এক জন ও মুর্শিদাবাদের তালঅনগা এক জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালের নিরন্তর চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থ করে আজ তারা তিনজনেই নিজের নিজের বাড়ি ফিরে গেলেন। আজ ওই রোগীদেরকে হাসপাতালের ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীরা সম্মানিত করেন। রোগীদেরকে দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফ থেকে কিছু উপহারও। বাড়ি যাবার গাড়িতে চাপার আগে তিন জন রোগী অকপট স্বীকার করলেন যে করোনা পজিটিভ হয়ে সনোকা হাসপাতালে আসার পর থেকে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবায় তারা সন্তুষ্ট। যে ব্যবহার তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পেয়েছেন তা তারা জীবনেও ভুলবেন না। হাসপাতালের সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও উপস্থিত ডাক্তাররা করতালি দিয়ে তাদেরকে অভিনন্দন জানিয়ে বাড়ির পথে শুভেচ্ছার সহিত রওনা করেন।
সমগ্র শিল্পাঞ্চলবাঁশি নিজেদেরকে গর্বিত মনে করবেন যে তারা এমন একটি শহরে বসবাস করেন যেখানে আশেপাশের পাঁচটি জেলার একমাত্র কোভিড-১৯ হাসপাতাল রয়েছে এবং উল্লেখযোগ্য চিকিৎসা দ্বারা এখনো পর্যন্ত ৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছেন। এখানকার চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও বিভিন্ন করোনা যোদ্ধাদের জন্য সমস্ত শিল্পাঞ্চলবাঁশির শুভকামনা রয়েছে।
দুর্গাপুর আসানসোল শিল্পাঞ্চল এর জন্য এটি একটি বড় সংবাদ। কিন্তু এখনো আমাদের শিল্পাঞ্চলে অনেক মানুষজন আছেন যারা সরকারের লকডাউন এর বিধি নিষেধ কে উপেক্ষা করে দেদার ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাস্তাঘাটে। তাই তাদের উদ্দেশ্যে “এই বাংলায়” ওয়েব পোর্টাল এর পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে আপনারা বাড়িতে থাকুন, সুস্থ থাকুন, মনে রাখবেন এখনো পশ্চিম বর্ধমান জেলা অরেঞ্জ জোন বা নন স্পট জোন রয়েছে । যতক্ষণ না আমরা “গ্রীন জোনে” যেতে পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই লকডাউন এর নিয়মাবলী মান্য করে চলতে হবে। তাই সবাই আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ হই যে লকডাউন এর বাকি দিনগুলোতে আমরা সরকারের সমস্ত নিয়মকানুন মেনে পালন করব।