অসহায় ভাবে জীবন কাটাচ্ছেন বিশেষভাবে সক্ষম জয়দেব কর্মকার

467

সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ- জীবনের ৩৪ টা বসন্ত পেরিয়ে গেলও নিজের জীবনে কোনদিনও বসন্ত আসেনি। বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী থানার ডিহিপাড়া পঞ্চায়েতের মদন পুর গ্রামের জয় দেব কর্মকার। জন্ম থেকেই সে বিশেষভাবে চাহিদা সম্পন্ন। নিজে থেকে হাঁটাচলার ক্ষমতা নেই। তাই এই মুহূর্তে সে সরকারি আর্থিক সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। মা বছর দশেক আগেই মারা গিয়েছেন। বাবা হারু কর্মকার অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন রকমে সংসার চালান। ছোট্ট একটা ঘরে ছেলেকে নিয়ে কোনরকমে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় এই পিতা। মা না থাকায় জয়দেব কর্মকারের জীবনের কষ্ট আরো বেড়ে গিয়েছে। তাই আগামী দিনে আরও ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য সরকারি আর্থিক সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন জয়দেব কর্মকার। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো ভোট এলে ভোট দিতে যান, ভোট সকলেই নিয়ে চলে যান কিন্তু জয়দেব কর্মকারের দিকে কেউ ঘুরে তাকান না। আমাদের ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে জয়দেব কর্মকার বলেন, আমি সরকারের কাছে খাওয়া-পরা সবকিছুই চাইছি। তিনি জানান মাসে হাজার টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছি কিন্তু তাতে আমার চলছে না। জয়দেব কর্মকার এর বাবা হারু কর্মকার জানান, ছেলেকে নিয়ে অনেক কষ্টে রয়েছি তবে সরকার কিছু সাহায্য করলে ভালো হয়।ডিহিপাড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান উত্তম চ্যাটার্জি বলেন, জয়দেব কর্মকার এর অবস্থা খুবই খারাপ। দেখার কেউ নেই। মা বহুদিন মারা গিয়েছে সরকার থেকে মান্থলি ২ থেকে ৪ হাজার টাকা যদি দেয়া হয় সেই অনুরোধ তিনি জানান। সরকারিভাবে একটি ঘর দেওয়া হলে খুবই ভালো হয়। মদনপুর গ্রামের মেম্বার প্রদীপ বাউরি বলেন, আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি যাতে জয়দেব কর্মকার সুব্যবস্থা পায়। ডিহিপারা পঞ্চায়েতে যে প্রতিবন্ধী ক্যাম্প হয়েছে সেখানেও ওর নাম পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে পঞ্চায়েতের গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রামের মেম্বার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here