সংবাদদাতা, গুসকরা:- মেয়ের পরকীয়ার পাপ থেকে পরিবারকে বাঁচাতে মেয়ের মাকে গণধর্ষণের সম্মতি দিতে হবে। এমনই নিদান আদিবাসী সমাজের সালিশি সভায়। যা নিয়ে রীতিমত হৈ চৈ ভাতারের জঙ্গলমহলে। বুধবার গভীররাতে চার ধর্ষনকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে বর্ধমানের মুখ্য দায়রা আদালত।
গুসকরার কাছেই ভাতার থানার ওর গ্রাম। ঘটনাস্থল সেখানেই। মঙ্গলবার সকালে আদিবাসী মোড়ল গ্রামবাসীদের নিয়ে বিচারসভা বসান। কারণ পঞ্চাশ বছরের এক আদিবাসী মহিলার সদ্য যুবতী মেয়ে পড়ারই এক বিবাহিত যুবকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। পড়ার মোড়ল সোম মার্ডি তড়িঘড়ি বিচারসভা বসিয়ে ছয় জন সাক্ষীকে সামনে রেখে নিদান দিয়ে বলেন, ” ওই পরিবারের পাপ ধুতে গেলে অভিযুক্ত মেয়ের মাকে চার জনের সঙ্গে সহবাস করতে হবে।” সেই মোতাবেক মঙ্গলবার রাতেই তার তিন সাগরেদ সুনীল মুর্মু, ডিঙ্গা মুর্মু ও মঙ্গল বেসরাকে সাথে নিয়ে মহিলার ঘরে চড়াও হয় সোম মার্ডি। তার হুকুমে বাকি তিনজন পর পর ধর্ষণ করে মহিলাকে। বাধা দিতে গেলে মহিলার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্তরা। তাকে খুঁটিতে বেঁধে রেখে বাকিরা মহিলাকে ধর্ষণ করে পরিবারের সাপমোচনে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।পুলিশকে মহিলা জানান, যথেচ্ছ অত্যাচার করে ক্লান্ত হয়ে এক সময়ে ওরা তাকে ছেড়ে দেয়। পড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মহিলাকে গুসকরা ব্লক হাসপাতালে আনা হয়।বুধবারই চার অভিযুক্তকে পাহাড়পুর ও ওর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।