eaibanglai
Homeএই বাংলায়৩০ বছর পরে বাপের বাড়িতে ফিরে গেলেন মানসিক ভারসাম্যহীন বুচি কালিন্দী

৩০ বছর পরে বাপের বাড়িতে ফিরে গেলেন মানসিক ভারসাম্যহীন বুচি কালিন্দী

সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ-

পুরুলিয়া জেলার হুড়া থানার অন্তর্গত পুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বুচি কালিন্দী দীর্ঘ ৩০ বছর পরে আজ নিজের বাপের বাড়িতে ফিরে গেলেন। খুশি পরিবার ও মানসিক ভারসাম্যহীন প্রায় বছর ৫০ থেকে ৬০ বয়সী স্বামী পরিত্যাক্তা বুচি কালিন্দী

সে কয়েক দশক আগেকার ঘটনা বুচি কালিন্দী বিয়ে হয়েছিল। বিয়ে হয়েছিল পুরুলিয়া জেলার চন্দন কেয়ারী তে। বিয়ের পরে স্বামীর সঙ্গে ঘর করা এবং দুই কন্যা সন্তানের মা ও ছিল বুচি কালিন্দী সে নিজেও জানে না তার এক কন্যা মারা গেছেন এবং একজনের বিয়েও হয়েছে। বিয়ের বেশ কিছুদিন পরে মানসিক ভারসাম্য হারায় তারপরে ঠাঁই হয় বাপের বাড়ি পুরুলিয়া জেলার হুড়া থানার পুকুরীয়া গ্রামে বাপের বাড়ি তে। বাপের বাড়ীর লোকজন তাকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতেন রাচি সেখানেই চলছিল তার মানসিক চিকিৎসা গ্রামে যত্নসহকারে এসেছিল। সে তাঁর বাপের বাড়ি থেকে আজ ৩০ বছর আগে হঠাৎই একদিন পুকুরীয়া গ্রামের থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের লোকজন হুড়া থানা লিখিত অভিযোগ করেন বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তার পরেও খুঁজে পাওয়া যায়নি সেই বুচী কালিন্দী কে । বিধাতার কি পরিহাস ঘুরতে ঘুরতে বাঁকুড়া শহরের প্রায় তিন বছর আগে কোন এক দুর্ঘটনায় আঘাত লাগে, বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ তাকে ভর্তি করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সেখানে নার্স ও আয়া এবং হাসপাতালে যেসব গ্রুপ ডি কর্মচারী আছে তাদেরই তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে কিছুটা হলেও সুস্থ হয়ে উঠেছে। আবার মিলন ঘটলো বুচি কালিন্দীর গত ৪-৫ দিন আগে বুচি কালিন্দীর ভাইপো বাবলু কালিন্দি তার মাসিকে নিয়ে ভর্তি করেছিলেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার মাসিকে নিয়ে থাকা বুচী কালিন্দীর পাসের বেডের পাশে বাবলু কালিন্দীর মাসি চিনতে পারে সেই ৩০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বুচি কালিন্দী কে তারপরে পরিবারের এক এক করে এসে দেখে এই যে সেই বুচি কালিন্দী তাকে কিন্তু তারা নিজের পরিবারের লোক চিনতে পারে। খবর যাইব গ্রামে প্রমাণপত্র এসে বাঁকুড়া সদর থানায় প্রমান পত্র দীয়ে নিয়ে যাবার তোড়জড় শুরু করে দীর্ঘদিন ধরে অপরিচিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় হীন থাকা সেই বুচি কালিন্দীর পরিবারের সঙ্গে তার পরিচয় মিলিয়ে বাঁকুড়া সদর থানা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। তারপরে পরিবার তোড়জোড় শুরু করে আজ তার ভাইপো বাবলু কালিন্দী ও বুচি কালিন্দীর বৌদি আদরি কালিন্দী উপস্থিতিতে তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায়। তাঁর সেই চেনা জায়গা পুরুলিয়া জেলা হুড়া থানার পুকুরিয়া গ্রামে এতে একদিকে যেমন খুশি বাঁকুড়া ফিমেল সার্জিক্যাল এর ধাকা নার্স ও আয়া এবং গ্রুপ ডি যেসব কর্মচারীরা আছে তারাও তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরে তারাও বেজায় খুশি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments