eaibanglai
Homeএই বাংলায়আসানসোলে যত্র তত্র মদ, জুয়ার ঠেকঃ দুই দপ্তরের দু'রকম তদন্ত রিপোর্ট

আসানসোলে যত্র তত্র মদ, জুয়ার ঠেকঃ দুই দপ্তরের দু’রকম তদন্ত রিপোর্ট

সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- মদ, গাঁজায় ডুবে যাচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্র’রা। এই অভিযোগের তদন্তে দু’রকম রিপোর্ট উঠে আসায় বিস্মিত পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। তবে, রিপোর্ট যাই হোক- মাদকের খুল্লামখুল্লা কারবার রুখতে কঠোর ব্যবস্থা যে এখনি নিতে হবে, জেলা প্রশাসন তা বুঝিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ-প্রশাসন হয়তো জানে না, অবাধ্য – বেপোরোওয়া এক শ্রেনীর ছাত্র সব জানে- কোথায় মিলবে গাঁজা, কোথায় জুটবে ২০ টাকার মদ! আসানসোল শহরের একটা বিস্তীর্ণ এলাকায় এটাই নাকি স্বাভাবিক ছবি। বাসিন্দারা স্থানীয় প্রশাসন কে বার বার বলেছেন, ফল মেলেনি। তবে, কিছু কলেক শিক্ষক-শিক্ষিকা আর এক কলেজ অধ্যক্ষের কাছ থেকে অভিযোগ পেতেই দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক শশাঙ্ক শেট্টি। মহকুমা শাসকের দপ্তর আর আবগারি দপ্তরের তদন্ত রিপোর্টে অবশ্য আলাদা আলাদা রিপোর্ট আসায় বিস্ময় সব মহলেই। অভিযোগ ছিল- শহরের বি বি কলেজ সংলগ্ন উষাগ্রাম, চামড়া বস্তি, তিলক রোড এলাকায় মাদকের কারবারের রমরমা। দশ, বিশ টাকা ফেললেই ভরপুর নেশার দ্রব্য হাতে এসে যায়।
জেলা শাসকের নির্দেশে তদন্তে নেমে জেলা আবগারি দপ্তর যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে বলা হয়- ‘এমন অভিযোগের সত্যতা আগে মেলেনি’। আর আসানসোল মহকুমা প্রশাসনের তদন্ত রিপোর্ট বলছে, “বিভিন্ন বাড়িতে চোলাই, মদ, গাঁজা বিক্রির সত্যতা মিলেছে”। মহকুমা শাসক দেবজিৎ গঙ্গোঁপাধ্যায় বলেন, “আমাদের তদন্ত রিপোর্ট আমরা জেলা শাসকের কাছে পাঠাচ্ছি”। আবার পশ্চিম বর্ধমানের আবগারি অধিকর্তা তুহিন নাগ বললেন, “জেলা শাসকের নির্দেশে তদন্ত করেছি। আমরা মাদক ঠেক যে চলছে সে অভিযোগের সত্যতা পাইনি”।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments