নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ আঁচ আগে থেকেই মিলেছিল। সোমবার ৫ই জুলাই, ২০১৯ সেই তথ্যেই শিলমোহর পড়লো। হ্যাঁ, ঐতিহাসিক রায় হিসেবে জম্মু-কাশ্মীর থেকে তুলে নেওয়া হল ৩৭৭ ধারা। সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যসভার অধিবেশনে তাঁর বিল প্রস্তাব পেশ করতেই তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই ঐতিহাসিক ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। সেই সঙ্গে ভারতের ইতিহাসে ৫ই জুলাই ২০১৯ তারিখ স্বর্নাক্ষরে জায়গা করে নিল। শুধু ৩৭০ ধারায় নয়, এদিন একই সঙ্গে ৩৫-এ ধারাও জম্মু-কাশ্মীর থেকে বাতিল করা হল। আর এর ফলস্বরূপ জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর এই তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। স্বভাবতই আলাদা রাজ্যের মর্যাদা হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হল এই তিন রাজ্য। সোমবার অধিবেশনে এই বিল পাশ হতেই বিরোধীদের তরফে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। বিক্ষোভের জেরে কিছুক্ষনের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন। পরে দ্বিতীয়বার অধিবেশন শুরু হতেই কেন্দ্রের জম্মু-কাশ্মীর প্রস্তাবে শিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি। নজিরবিহীন ও ঐতিহাসিক বিল পাশের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশ জুড়ে নানান প্রতিক্রিয়ার ঝড় উঠতে থাকে। বিতর্ক ও বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছে জম্মু-কাশ্মীর জুড়েও। আর এই পরিস্থিতি যে তৈরী হতে পারে তা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কারনেই ঐতিহাসিক বিল পাশের কয়েক দিন আগে থেকেই ভূস্বর্গ জুড়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয় তৈরী করা হয়েছিল। অশান্তির বাতাবরণ তৈরীর আশঙ্কায় অমরনাথ যাত্রা রদ করার সঙ্গে সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরে বাড়তি সতর্কতা নিতে ২৫ হাজার আধা সামরিক জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছিল। সমস্ত তীর্থযাত্রী থেকে শুরু করে ভিভিআইপি পর্যটকদের জম্মু-কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো সোমবার সপ্তাহের শুরুতেই এল ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই অবশেষে জম্মু-কাশ্মীর থেকে উঠে গেল বহুল চর্চিত ৩৭০ ধারা। আজ থেকে যে ধারার আর কোনও গুরুত্ব রইল না উপত্যকায়। নরেন্দ্র মোদী আবারও প্রমাণ করলেন ভারতবর্ষের বুকে তিনি একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি যে কোনও কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পিছুপা হননা। এর থেকে আবার প্রমাণ হল প্রধানমন্ত্রীর বুকের পাটা নিয়ে নানামহলে যে নানান কৌতুক করা হত তা আজ তিনি প্রমাণ করে দেখালেন তিনি বাস্তবেই ৫৬ ইঞ্চি ছাতির অধিকারী আর তিনিই পারেন এবং তিনিই করেন। ভারতবর্ষের এই ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষনকে চ্যানেল এই বাংলায়-র পক্ষ থেকে শতকোটি প্রণাম। “ভারত আবার জগত সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে”।