জয়প্রকাশ কুইরি ,পুরুলিয়াঃ- করোনার সবচেয়ে বেশী প্রকোপ পড়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। লকডাউনের পর থেকে কার্যত পর্যটকশূন্য পর্যটনকেন্দ্রগুলি। বাদ পড়েনি পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়। সুন্দরী অযোধ্যাকে দেখতে সার বছরই কমবেশী ভিড় জমান পর্যটকরা। বিশেষ করে শীতের মরশুমে। পিকনিক করতে কিংবা বড়দিনের ছুটিতে অনেকই একদিনের জন্য হলেও ঘুরে যান পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি ব্লকের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রটি। আর এই বাঘমুন্ডি ব্লকের চড়িদা গ্রামের ছৌ মুখোশ শিল্পীরা বছরভর অপেক্ষায় থাকেন পর্যটকদের। কারণ তাঁদের তৈরি মুখোশের প্রধান ক্রেতা এই পর্যটকরাই। কিন্তু করোনার জেরে গত মার্চ মাস থেকেই বন্ধ পর্যটকদের আনাগোনা। ফলে তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্যে যেতে হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু পুজোর মরশুমে অল্প হলেও পর্যটক আসা শুরু করেছে অযোধ্যা পাহাড়ে। ফলে মুখোশ শিল্পীদেরও শুরু হয়েছে বেচাকেনা। দীর্ঘ কয়েক মাস বেচাকেনা বন্ধ থাকার পর পুজোর সময় ফের তা শুরু হওয়ায় হাসি ফুটেছে শিল্পীদের মুখে। চড়িদা গ্রামের মুখোশ শিল্পীরা আশাবাদী শীতের মরশুমে বাড়বে পর্যটকের সংখ্যা। আর তার সঙ্গে তাদের বেচাকেনা। তবে পুজোয় সময় অনেক জায়গাতেই যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষ ভিড় করেছে তাতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে চড়িদা গ্রামের শিল্পীদের আশা কতটা পূরণ হয় এখন সেটাই দেখার।