eaibanglai
Homeএই বাংলায়কয়লা পাচার কাণ্ডে ৮ ইসিএল আধিকারিকের জামিন

কয়লা পাচার কাণ্ডে ৮ ইসিএল আধিকারিকের জামিন

সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– অবশেষে জামিন পেলেন কয়লা পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার ইসিএলের ৮ আধাকিরিক। গত মঙ্গলবার ধৃত আধাকিরিকদের মধ্যে সুভাষ মুখোপাধ্যায় হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পান। এরপরই বৃহস্পতিবার বাকি ৭ জনের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জামিনের প্রসঙ্গ তুলে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জামিনের আবেদন করেন এবং সওয়াল-জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সাতজনেরই জামিন মঞ্জুর করেন। হাই কোর্টে ইসিএল আধিকারিক সুভাষ মুখোপাধ্যায় শর্ত সাপেক্ষে জামিন পান। জামিনের শর্তে বলা হয়েছে তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় যেতে পারবেন না। সিবিআই মামলায় তদন্তের জন্য যখনই ডাকবে তখনই তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। বর্তমানে সুভাষ মুখোপাধ্যায় কোথায় থাকছেন, সেই ঠিকানা এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইও উমেশ কুমার ও আদালতকে জানাতে হবে। এছাড়াও তাকে ৫০ হাজার টাকা করে দুজন জামিনদার দিতে হবে। এই একই শর্তে আসানসোলের সিবিআই আদালত বাকি ৭ আধিকারিককে জামিন দেয়। তবে এক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা করে দুজন জামিনদার বা সিওরিটি বন্ড দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে গত ১৩ জুলাই সাতজন ইসিএল আধাকিরিককে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ইসিএলের প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার অভিজিৎ মল্লিক, সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, তন্ময় দাস, বর্তমান জেনারেল ম্যানেজার এসসি মৈত্র এবং মুকেশ কুমার। এছাড়া দুই নিরাপত্তা আধিকারিক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও রিঙ্কু বেহেরা। পরে সুভাষ মুখোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে ১৪০ দিন ধরে আসানসোল জেলে রয়েছেন গ্রেফতার হওয়া ইসিএলের কর্তারা। এই সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তাঁদের জামিনের শুনানি হয়েছে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই জামিন নাকচ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, এই কয়লা পাচার মামলায় গত ১৯ জুলাই সিবিআই ৪১ জনের নাম সহ সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছিল। তাতে এই আটজনের নাম রয়েছে। তবে, এই কয়লা পাচার মামলায় অন্যতম ও প্রধান অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি সিবিআই। সুপ্রিম কোর্টের রক্ষা কবচে তিনি আপাতত সিবিআইয়ের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments