আসানসোলে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করল সিআইডি

120

সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- আসানসোলে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী খুনের তদন্তে নামল সিআইডি। শুক্রবার সিআইডির তদন্তকারী দল ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তদের সঙ্গে নিয়ে যেখান থেকে ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল সেই স্থানটি ঘুরে দেখে এবং এলাকার একটি পুকুরে নিহত ছাত্রীর মোবাইলের খোঁজে তল্লাশি চালায়। পাশাপাশি এদিন নিহত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলেন সিআইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা।

প্রসঙ্গত চলতি সপ্তাহের সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেরে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী হীরাপুরের বাসিন্দা কোয়েল হাঁসদা। ঘণ্টাখানেক পরেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু মোবাইল বন্ধ থাকায় ওই ছাত্রীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে থানায় নিখোঁজের একটি অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। এরপর পুলিশ ও পরিবারের লোকজন একাধিক জায়গায় খোঁজখুজি করলেও তার খোঁজ মেলেনি। অবশেষে ওইদিন রাতে ছাত্রীর বাড়ির কাছেই ১২ নম্বর নিউটাউন এলাকায় তার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে সমীর মাড্ডি, সুমিতা হেমব্রম, রোহিত হাঁসদা নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে হীরাপুর থানার পুলিশ।

অন্যদিকে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে মৃতের পরিবার সহ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে ইতিমধ্যে আন্দোলনে নেমেছে এলাকার আদিবাসী সমাজের লোকেরা। গত বুধবার থানার সামনে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখায় আন্দোলনকারীরা। অবশেষে ডিসিপি অভিষেক গুপ্তার আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here