সংবাদদাতা,মুরারইঃ- টিউশন থেকে ফেরার পথে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। অপমানে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী বীরভূমের মুরারইয়ের মুর্শিদপাড়া গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রীর। বাবা দিনমজুরের কাজ করলেও অভাবের মধ্যেও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল মহুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে প্রতদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যাতেও প্রতিবেশী অভিযুক্ত যুবক উৎপল মন্ডলের বাড়ির সামনে দিয়ে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল তাদের মেয়ে। তবে অন্য দিনের তুলনায় রাত করে বাড়ি ফিরেছিল। বাড়ি ফিরে নিজের ঘরেই চলে যায় ওই ছাত্রী। বাবা-মা প্রথমে ভেবেছিলেন শরীর খারাপ, তাই ঘরে শুয়ে আছে। খানিক পরে গোঙানির আওয়াজ পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখেন তাঁদের মেয়ে ছটফট করছে। এরপরই ধর্ষণ ও কীটনাশক খাওয়ার কথা জানতে পেরে অভিভাবকরা ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে মুরারই হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানেই তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাকে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর।
এদিকে ছাত্রীর মৃত্যুসংবাদ গ্রামে পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর একাংশ চড়াও হন অভিযুক্ত উৎপল মণ্ডলের বাড়িতে। এরপই পুলিশ গিয়ে আভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এর আগেও মেয়েদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু, কোনও ক্ষেত্রেই পুলিশে অভিযোগ হয়নি। নিষ্পত্তি হয়েছে স্থানীয় স্তরেই। এদিন তাঁদের মেয়েকে তারই খেসারত দিতে হল বলে মনে করছেন মৃতার মা-বাবা। শান্ত, হাসি-খুশি স্বভাবের মেয়েটার এমন পরিণতি কিছুতেই মানতে পারছে না মুরারইয়ের গ্রামবাসী।