eaibanglai
Homeএই বাংলায়মেলায় সাইকেল রাখা নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষকে ঘিরে ধুন্ধমার কাণ্ড

মেলায় সাইকেল রাখা নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষকে ঘিরে ধুন্ধমার কাণ্ড

সংবাদদাতা,বাঁকুড়া- মেলায় সাইকেল রাখা নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষকে ঘিরে ধুন্ধমার কাণ্ড। পুলিশের ভয়ে গ্রামছাড়া গ্রামের পুরুষরা। বাড়িতে অনুষ্ঠান,দুইদিন রেহাই দেওয়ার করুণ আবেদন পরিবারের।

প্রসঙ্গত বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় থানার অন্তর্গত বেলুট গ্রামে বসেছে মেলা। প্রতিদিন মেলায় ভিড় জমান আশেপাশের সমস্ত গ্রামের মানুষজন। আর এই মেলাতেই সাইকেল রাখা নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে শুরু হয় ঝামেলা। অভিযোগ মেলার জন্য বেলুট গ্রামে লোহার পাড়ায় তৈরি করা সাইকেল স্ট্যান্ডে পাশ্বপর্তী বাঁকুড়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দাদের রাখা সাইকেলে গ্রিজ এবং পোড়া পেট্রোল ঢেলে দেওয়া হয়। এই নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্য মৌখিক ঝামেলা হয়। পরবর্তীতে সেই ঝামেলা হাতাহাতির রূপ নেয় এবং বাঁকুড়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু তুংগ(৩৫) গুরুতরভাবে আহত হয়। মাথায় গুরুতর চোট নিয়ে তাঁকে বেলিয়াতোড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে দ্রুত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। ঘটনার রেশ এই পর্যন্ত গড়িয়ে স্তিমিত হয়ে গেলেও ,ফের বিপত্তি বাঁধে আজ সকালে।

বাঁকুড়াডাঙ্গা গ্রামের কিছু লোকজন বেলুট গ্রামের পাশের গ্রাম গোবিন্দপুরের এক বাসিন্দাকে দেখতে পেয়ে আটক করে রাখে এবং জানতে চায় বেলুট গ্রামের কে বা কারা তাদের গ্রামের ওই ছেলেটিকে মারধর করেছে। যদিও গোবিন্দপুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির অভিযোগ বিনা অপরাধে তার সাইকেল ভেঙেছে এবং তাকে মারধর করেছে বাঁকুড়াডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা।পরে বেলিয়াতোড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী বাঁকুড়াডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছে লাঠিচার্জ শুরু করে। চারজনকে আটকও করে। এরপরই পুলিশের ভয়ে পুরো গ্রাম প্রায় পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়ে। এদিকে ওই গ্রামের একটি বাড়িতে অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই বাড়ির সদস্য়রা পুলিশকে করজোড়ে অনুরোধ করতে শুরু করে তাঁদের যাতে দুদিনের জন্য রেহাই দেওয়া হয়। বাড়িতে অনুষ্ঠান, গ্রাম পুরুষশূণ্য হয়ে পড়লে কীভাবে অনুষ্ঠান বাড়ি সম্পন্ন হবে।

উত্তেজনাকার পরিস্থিতি আয়ত্তে এলেও, পুলিশি ঘেরাটোপে রয়েছে বাঁকুড়াডাঙা গ্রামের বাসিন্দারা। অন্যদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাচ্চু তুংগ নামে ওই ব্যক্তি বর্তমানে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সব মিলিয়ে রীতিমতো ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গ্রামজুড়ে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments