eaibanglai
Homeএই বাংলায়শালতোড়া ব্লকের ইতুড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বর্তমানে সমাজবিরোধীদের "ঠেক", দেখুন ভিডিও

শালতোড়া ব্লকের ইতুড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বর্তমানে সমাজবিরোধীদের “ঠেক”, দেখুন ভিডিও

নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিভিন্ন জেলা বর্তমানে পেয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, গরীব তথা বিপিএল তালিকাভুক্তরা পেয়েছেন স্বাস্থ্যবীমা। কিন্তু তাসত্বেও রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার হাল কোথাও গিয়ে যেন হোঁচট খেয়েছে। যার অন্যতম প্রধান কারণ, বিভিন্ন জেলা ও ব্লকগুলিতে অবস্থিত সরকারী হেলথ সেন্টার ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিকাঠামোগত ত্রুটি। এককথায় বলতে গেলে, সরকারী উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা নতুন সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল পেলেও একপ্রকার সরকারী সাহায্য থেকে সম্পূর্ন বঞ্চিত থেকে গেছে সরকারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি। রাজ্যে এইমুহূর্তে এমনও বহু স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে যেখানে বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থা তো দূর অস্ত, পথচলতি মানুষের রোদ থেকে ঠাই পাওয়ার নূন্যতম পরিকাঠামোও আর অবশিস্ট নেই। যেমন বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের ইতুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বর্তমান অবস্থা। এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, হাসপাতালে ডাক্তার প্রায় থাকে না বললেই চলে। তাই স্থায়ী চিকিৎসকের আশায় দিন গুনছেন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপরে ভরসা করে থাকা প্রায় কুড়িটি গ্রামের বাসিন্দা। তাদের বয়ান অনুযায়ী, হাসপাতাল আছে, এলাকায় প্রচুর রোগীও রয়েছেন, কিন্তু নেই স্থায়ী কোন চিকিৎসক। সবথেকে অবাক করার বিষয় হল, বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালাচ্ছেন হাসপাতালের একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন নার্স। হ্যাঁ, এমনই বাস্তব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শালতোড়া ব্লকের বহু গ্রামের রুগিদের। আর উপায় না থাকায় একপ্রকার বাধ্য হয়েই এভাবেই বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসা করিয়ে আসছেন বাঁকুড়ার শালতোড়া ব্লকের ইতুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আওতাধীন এলাকার বাসিন্দারা। জানা গেছে, এই তিলুড়ি অঞ্চলে প্রায় ২০-২২টি গ্রামের আড়াই হাজার মানুষের একমাত্র সম্বল এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রচুর টাকা ব্যয় করে বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য তাদের নেই। তাই বহুবার প্রশাসনের কাছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতি সাধনের জন্য আবেদন জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, হাসপাতালে বেড, ওষুধের ব্যবস্থা মোটামুটি থাকলেও চিকিৎসকের অভাব বেশি করে পরিস্থিতি জটীল করছে। উপযুক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় হাসপাতালের সরঞ্জাম চুরি হয়ে যাচ্ছে। রাতের অন্ধকারে সমাজবিরোধীদের আড্ডাখানাতেও পরিনত হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এই বিষয়ে শালতোড়া ব্লকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি গ্রামবাসীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments