eaibanglai
Homeএই বাংলায়সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ঠিকা কর্মীদের কর্মবিরতি, নরক যন্ত্রনায় রোগী ও পরিজনরা

সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ঠিকা কর্মীদের কর্মবিরতি, নরক যন্ত্রনায় রোগী ও পরিজনরা

সংবাদদাতা,বাঁকুড়াঃ- বেতনের দাবিতে কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতিতে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ১১০ জন অস্থায়ী কর্মী। নরক যন্ত্রনায় হাসপাতালের রোগী ও রোগীর পরিজনরা । ঘটনা বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের।

বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ওয়ার্ড বয়, সাফাই কর্মী সহ বিভিন্ন পদে কাজ করেন বরাত পাওয়া একটি ঠিকা সংস্থার কর্মীরা। সব মিলিয়ে ওই ঠিকা সংস্থার ১১০ জন অস্থায়ী কর্মী হাসপাতালে কর্মরত। এই অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ কোনও কারণ ছাড়াই তাদের সকলের বেতন থেকে মাথাপিছু প্রায় ১২০০ টাকা কেটে নিয়েছে বরাত পাওয়া ঠিকা সংস্থা। তার প্রতিবাদে ও টাকা ফেরৎ দেওয়ার দাবি তুলে দিন দুই আগে এই ঠিকা কর্মীরা কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ তাতে কোনও কাজ না হওয়ায় এদিন তাঁরা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন।

এদিকে এই ঠিকা কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে পড়ে রোগী ও তাদের পরিজনদের। সাফাই কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতালের শৌচালয় ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। শৌচালয় থেকে নোংরা জল হাসপাতালে লবি পেরিয়ে ঢুকে পড়ে ওয়ার্ডের মধ্যে। নোংরা জলের উপর দিয়েই রোগীদের নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হন রোগীর পরিজনরা। অন্যদিকে অস্থায়ী ওয়ার্ড বয়রাও কর্মবিরতিতে যোগ দেওয়ায় প্রভাব পড়ে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিসেবাতেও। যদিও অস্থায়ী কর্মীদের তরফে দাবি করা হয় হাসপাতালের জরুরী পরিসেবা চালু রেখেই তাঁরা আন্দোলনে সামিল হন।

হাসপাতালের কাজ পরিসেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় ঠিকা শ্রমিকদের কর্মবিরতির কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নড়েচড়ে বসে বরাত পাওয়া ঠিকা সংস্থা এবং অস্থায়ী কর্মীদের বকেয়া টাকা তড়িঘড়ি তাঁদের অ্য়াকাউন্টে ট্রান্সফার করতে থাকে সংস্থা। এরপরেই অস্থায়ী কর্মীরা তাদের কর্ম বিরতি তুলে নেন ও পরিষেবা দিতে শুরু করেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালের পরিসেবা স্বাভাবিক হয় ও জঞ্জালমুক্ত হয় হাসপাতাল। অবশেষে স্বস্তিক নিঃশ্বাস ফেলেন রোগী ও তাঁদের পরিজনরা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments