সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিয়ের বাধা কাটাতে তান্ত্রিকের প্ররোচনায় নিজের আট বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ। ঘটনা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার। গ্রেফতার গৃহশিক্ষক ও তান্ত্রিক।
সপ্তাহ খানেক আগে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বিষ্ণুপুর থানা এলাকার এক গৃহশিক্ষক সবুজ দে। নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল গত রবিবার গ্রামের ওই শিক্ষকের বাড়িতে পড়তে গেলে উপস্থিত অন্য পড়ুয়াদের ছুটি দিয়ে ওই নাবালিকাকে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক। অসুস্থ অবস্থায় নাবালিকা বাড়ি ফিরে সমস্ত কথা জানালে তড়িঘড়ি তাকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার।
সেই অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক সবুজ দে’কে গ্রেফতার করে ও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। পুলিশ জানতে পারে ওই গৃহশিক্ষকের বয়স ক্রমশ বেড়ে গেলেও কিছুতেই বিয়ে হচ্ছিল না, তাই বেলিয়াতোড়ের নারায়নগঞ্জ গ্রামের গুরুপদ মাঝি নামে এক তান্ত্রিকের শরনাপন্ন হন তিনি। অভিযুক্তের দাবি সেই তান্ত্রিক তাকে পরামর্শ দেন, ঘোর অমাবশ্যায় নাবালিকার রক্ত বস্ত্র সহ মনসার থানে পুজো দিলেই কাটবে বিয়ের বাধা। সেই মতো সুযোগ বুঝে নিজের নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সেই ছাত্রীর রক্ত একটি সাদা কাপড়ে সংগ্রহ করেন ওই শিক্ষক। কিন্তু কালীপুজোর আগেই গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় মনসার থানে আর পুজো দিতে পারেননি।
এদিকে ঘটনার প্রায় সপ্তাহ খানের বাদে গতকাল ওই তান্ত্রিকের খোঁজ পায় পুলিশ। গতকালই তাকে গ্রেফতার করে আজ বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। যদিও ধৃত তান্ত্রিক তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
