eaibanglai
Homeএই বাংলায়অসহায়দের পাশে 'খোলা জানালা'

অসহায়দের পাশে ‘খোলা জানালা’

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, বারাসতঃ- বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গা পুজো এসে গ্যাছে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। চারদিক আলোর মালায় সেজে উঠেছে। তখন ওরা মুখ কালো করে বিষণ্ন বদনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুজোর সময় ওদের যে নতুন জামাকাপড় কেনার সামর্থ্য নাই। কিন্তু ওরা জানতনা ওদের জন্য আছে ‘খোলা জানালা’। নিজেদের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে খোলা জানালার সদস্যরা শুভ মহাপঞ্চমীর দিন ওদের হাতে তুলে দিল নতুন পোশাক।

সাত সকালেই সংস্হার বেশ কয়েকজন সদস্য হাজির হয় বারাসতের কলোনি মোড়ে। প্রাথমিক প্রস্তুতি ওরা আগেই সেরে রেখেছিল। আশেপাশের তিন চারটি গ্রামের খুবই অসহায় ত্রিশ জন মহিলার কাছে পৌঁছে দিয়েছিল কুপন। একে একে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় কাপড়, মিষ্টির প্যাকেট ও একটি করে পানীয় জলের বোতল। নতুন পোশাক পাওয়ার খুশিতে আলো, মালতী, ইলাদের সঙ্গে সঙ্গে পারভিনা, রেহেনা, সুফিয়া প্রমুখদের মুখেও হাসি ফুটে ওঠে। ওদের খুশিতে খোলা জানালার সবাই খুব আনন্দিত হয়।

পোশাক বিতরণের সময় খোলা জানালার পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংস্হার সদস্য লিলি নন্দী, বৃষ্টি রায়, দেবশ্রী বাসু, নবনীতা দত্ত, গীতা লোধ, অপর্ণা দত্ত,
দীপ বিশ্বাস, আদিত্য সরকার, মুকুল সরকার, ববি সরকার প্রমুখ।

প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ৯ ই জুলাই লিলি , বৃষ্টি , দেবশ্রী, নবনীতা, বিপ্লব, গৌরাঙ্গ ও ববি – এই সাত অভিন্ন হৃদয় বন্ধুর হাত ধরে এই ভিন্ন স্বাদের গ্রুপটি গড়ে ওঠে। এখানে প্রত্যেকেই স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পায়। শুধু তাই নয় নিজেদের সাধ্যমতো সমাজ সেবাতেও এরা মেতে ওঠে।

গ্রুপের অন্যতম সদস্য নবনীতা দত্ত বললেন – লকডাউনের সময় মূলত নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে এই গ্রুপটি গড়ে তুলি। একইসঙ্গে সমাজ সেবার কথাও ভাবি। তারই অঙ্গ হিসাবে আমরা বেশ কয়েকজন অসহায় মানুষের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিলাম। আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। যারা নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments