সংবাদদাতা, কালনাঃ- সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত একটি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান । জালিয়াতের হাত থেকে রেহাই পায়নি তার নিজের জামাইও । ১২ জনকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা আর্থিক জালিয়াতি অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে । ঘটনাটি কাটোয়া মহকুমার মঙ্গলকোট এলাকার।
ধৃতের নাম শেখ হেকমত আলি। তিনি মঙ্গলকোটের ঝিলু ২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান। মঙ্গলবার বদরুজ্জোহা নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলকোট থানায় ওই উপপ্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ ছিল, চাকরি দেওয়ার নাম করে মোট ১২ জনের কাছ থেকে ৮২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা নিয়েছেন শেখ হেকমত আলি। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কেউ চাকরির নিয়োগ পত্র পাননি। একাধিকবার এ বিষয়ে হেকমত আলির সঙ্গে কথা বলেও কোনও লাভ হয়নি। সেই কারণেই এফআইআর দায়ের কর হয়।
অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে অভিযুক্ত উপপ্রধানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে খবর, অভিযোগকারী সম্পর্কে অভিযুক্তেরই বেয়াই। ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালে বদরুজ্জোহারের ছেলে গোলাম জসিমের সঙ্গে বিয়ে হয় হেকমত আলির মেয়ের। বিয়ের পরই জামাইকে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করে দেওয়ার নামে তার বাবার কাছ থেকে টাকা নেয় অভিযুক্ত। তিনি তার বেয়াইকে আরও বলেন কেউ যদি অর্থের বিনিময়ে সরকারি চাকরি পেতে ইচ্ছুক থাকেন তা হলে তাদের কেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে । এরপরই জসিম-সহ ১২ জন চাকরির জন্য হেকমত আলিকে টাকা দেন। কিন্তু চাকরি পাননি কেউই।
এবিষয়ে মঙ্গলকোট ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ”হেকমতের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ শুনেছিলাম। তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। এমনকি ওই কার্যকলাপের জন্য আমাদের পার্টি অফিসেও ওকে ঢুকতে দেওয়া হত না। হেকমত পঞ্চায়েত অফিসেও যেত না। আইন আইনের পথেই চলবে।”
অন্যদিকে পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই আর্থিক জালিয়াতির পিছনে অন্য কারও হাত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।