eaibanglai
Homeএই বাংলায়প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত এই বিজেপি কর্মীও চা বিক্রেতা

প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত এই বিজেপি কর্মীও চা বিক্রেতা

নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ একজন চা বিক্রেতা হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর উত্থানের রোমহর্ষক কাহিনী আজ গোটা দেশের সঙ্গে সঙ্গে গোটা বিশ্ব জানে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ “আইকন”। দারিদ্রতাকে আঁকড়ে ধরেও যে স্বপ্নের এভারেস্টে পা রাখা যায় তার জ্বলন্ত উদাহরণ দামোদর দাস নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে অনুসরণ করেই যে গোটা দেশ এগোবে তাতে আর আশ্চর্যের কী আছে? কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নয় একজন চা বিক্রেতা নরেন্দ্র মোদীকে অনুসরণ করে চায়ের দোকান খুলে ফেলেছেন কেউ এই ঘটনা একদমই নতুন। তবে এমনটাই ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রাধামোহনপুর অঞ্চলের নিত্যানন্দপুর গ্রামে। অজিত বৈদ্য নামে এক ব্যক্তি চা-ওয়ালা নরেন্দ্র মোদীকে অনুসরণ করেই দামোদরের পাড়ে খুলে ফেলেছেন এক চায়ের দোকান। অজিত বৈদ্য নামে ওই চা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল যখন থেকে বিজেপি নামকরণ হয়নি তখন থেকে তিনি বিজেপির সমর্থক। তাঁর কথায়, চা বিক্রি করে নরেন্দ্র মোদী যদি আজ দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হতে পারেন তাহলে তিনিও ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। মাথায় বিজেপির টুপি, গায়ে গণতন্ত্র বাঁচাও গেঞ্জি পড়ে একদিকে লোকসভা ভোটে দলের প্রচার, আর অন্যদিকে দোকানে আসা ক্রেতাদের চা খাওয়ানো একা হাতেই সামলাচ্ছেন অজিত বৈদ্য। বর্তমানে তার দোকান “মোদির চায়ের দোকান” নামেই লোকমুখে বেশি পরিচিত। তবে দোকান মালিক তথা বিজেপি কর্মী অজিত বৈদ্য জানান, তিনি বিজেপি সমর্থক এবং মোদীর অন্ধভক্ত বলে শুধু বিজেপি সমর্থকরাই তার দোকানে চা খেতে আসেন এমনটা নয়, সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা থেকে শুরু করে কর্মী-সমর্থকেরাই তার দোকানে আসেন। তারই গ্রামের এক বাসিন্দার দেওয়া তথ্য থেকে পরিষ্কার হয়ে গেল বিজেপি দল তথা প্রধানমন্ত্রীকে তিনি কতটা আপন করে নিয়েছেন। তার কথায়, অজিত বৈদ্য একবার নিজের জমি বন্ধক দিয়ে রাহুল সিনহাকে নিত্যনন্দপুরে নিয়ে এসেছিলেন। এমন একটা সময় ছিল তার সংসার চলত না। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর জীবন সংগ্রামে অনুপ্রানিত হয়ে দামোদরের পাড়ে এই চায়ের দোকান খোলেম তিনি। এইমুহূর্তে তার পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে। তবে আগামী দিনে চা বিক্রেতা থেকে তিনি কোথায় পৌঁছান তার অপেক্ষায় নিত্যানন্দপুরবাসী।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments