eaibanglai
Homeএই বাংলায়বিশ্ববাংলা মিলন মেলা- কামদুঘা পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ

বিশ্ববাংলা মিলন মেলা- কামদুঘা পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,পূর্ব বর্ধমানঃ- একটানা ৩৫ বছর ধরে সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন পূর্ব বর্ধমানের এরুয়ার বাসিন্দা কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক ধনঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘কামদুঘা’ নামক একটি জনপ্রিয় পাক্ষিক সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ধনঞ্জয় বাবু নিয়মিত সংবাদ পত্রিকা প্রকাশের পাশাপাশি প্রতি বছর শতাধিক কবির ভিন্ন স্বাদের কবিতা সমৃদ্ধ একটি করে সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন।

অতীত ঐতিহ্য বজায় রেখে গুণীজন, কবি-সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ২৮ শে আগষ্ট গুসকরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি বেসরকারি লজে
পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সুপ্রিয় অধিকারী ও অন্যান্য অতিথিদের হাত ধরে ‘কামদুঘা’ পত্রিকার বিশেষ সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটে।

এর আগে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে গলায় উত্তরীয় পড়িয়ে এবং হাতে মেমেণ্টো তুলে দিয়ে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন সবিতাব্রত লাহা। উপস্থিত কবিরা স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। একে একে প্রতিটি কবির হাতেও তুলে দেওয়া হয় মেমেণ্টো।

কিন্তু সবাইকে ছাড়িয়ে যান ভেদিয়া থেকে আগত মহাদেব চক্রবর্তী। তার সৌজন্যে মহালয়ার আগেই মহালয়ার ভাবগম্ভীর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। উপস্থিত শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তার স্তোস্ত্র পাঠ শ্রবণ করে মুগ্ধ হন। এভাবেই তিনি গত কুড়ি পঁচিশ বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত মাতিয়ে চলেছেন।

আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সুপ্রিয় অধিকারী, পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত বাৎসরিক ‘দু’টাকার’ গৃহ শিক্ষক ‘সদাই ফকির পাঠশালা’-র সুজিত কুমার চট্টোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান জেলা তথ্য ও সাংস্কৃতিক আধিকারিক রামশংকর মণ্ডল সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অসংখ্য কবি-সাহিত্যিক। প্রতিবেশি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন বিশিষ্ট কবি মানিক মজুমদার।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রাক্তন শিক্ষক কুমুদরঞ্জন মণ্ডল। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুব্রত শ্যাম।

রামশংকর বাবু তার বক্তব্যে উপস্থিত কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের তাদের লেখনির মাধ্যমে বাল্য বিবাহ, শিশু শ্রমিক সহ বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে তুলে ধরার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে যুব সমাজ যাতে সাহিত্য তথা বইপ্রেমী হতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। এতবড় একটা অনুষ্ঠানে যুবসমাজ অনুপস্থিত থাকার জন্য তিনি আক্ষেপ করেন। কার্যত গুসকরার ‘ঘরের মানুষ’ পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক সুপ্রিয় অধিকারী বারবার ‘নস্টালজিক’ হয়ে পড়েন।

তার ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কবি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত হওয়ার জন্য তাদের প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ধনঞ্জয় বাবু বলেন – যুব সমাজকে সাহিত্যমুখী করার জন্য সবার সহযোগিতায় আমি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চলেছি। আশাকরি আগামী দিনেও আমি প্রত্যেকের সহযোগিতা পাব।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments