সংবাদদাতা, বড়জোড়া:- কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পলাতক সেই কোষাধ্যক্ষ কে শেষ পর্যন্ত পাকড়াও করল পুলিশ। সেই জানুয়ারি মাস থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ফেরার ছিল বিশ্বনাথ রাজ নামে কৃষি সমবায়ের ওই কোষাধ্যক্ষ। বাঁকুড়া জেলা আদালত তাকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
বড়জোড়ার ভৈরবপুর কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। বাঁকুড়া জেলা সমবায় অধিকর্তা ভৈরবপুর সমবায়টির ৭ জন পরিচালন কমিটির সদস্য বিরুদ্ধে গত জানুয়ারি মাসে বড়জোড়া থানায় প্রতারণা, তহবিল তছরুপ ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেপ্তার হন সমিতির সচিব নেপাল ঘোড়ুই।
কিন্তু বিশ্বনাথ সহ সমবায়টির চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ রাজ, সদস্য দিনোবন্ধু মন্ডল, বুদ্ধদেব রায়, তনময় গোস্বামী, কুমার কান্তি ঘোষ, ও সৌরভ কেশ ফেরার হয়ে যান। কোভিদ-১৯ পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন ও তারা এলাকাছাড়া রয়েছেন। এরই মাঝে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় বিশ্বনাথ কে। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে বিশ্বনাথ, তনময়, আর বিদ্যুৎ ই কৃষি উন্নয়ন সমবায়টির কোষাগার থেকে ভুয়ো লেনদেন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হড়ফ করার মূল চক্রী।
স্থানীয় মানুষের কাছে খবর পেয়ে রবিবারই বিশ্বনাথকে গ্রেপ্তার করে বড়জোড়া থানা।
বিশ্বনাথকে গ্রেফতারের পরই তনময়, বিদ্যুৎ দের হদিশ পেতে মরিয়া পুলিশ। জেলা পুলিশের এক বরিষ্ঠ আধিকারিক সোমবার জানান “এটা একটা বড়সড় চক্র আর তার চাই তিনজন। শুধু বড়জোড়াই নয়, অন্যান্য কয়েকটি সমবায়ের টাকা লুঠে ও তাদের সক্রিয় ভূমিকার বিষয়ে জানা যাচ্ছে।” বিশ্বনাথ গ্রেপ্তারের পর বাঁকুড়া জেলা সমবায় দপ্তরে ও কৃষি উন্নয়ন সমিতি থেকে দেদার টাকা লুঠের তদন্তে এবার সুরাহা মিলতে পারে বলে আশা প্রকাশ করে হয়েছে এদিন।