eaibanglai
Homeএই বাংলায়করোনাঃ বিলেত ফেরত ১৫ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে বর্ধমান প্রশাসন

করোনাঃ বিলেত ফেরত ১৫ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে বর্ধমান প্রশাসন

মান্তু কর্মকার, বর্ধমানঃ- স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বিলেত ফেরত ১৫ জন ‘উধাও’ হয়ে যাওয়া বাসিন্দার বিরুদ্ধে এবার আইনি ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শাসক বিজয় ভারতী উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকের পর জানান, “ওরা জেলা প্রশাসনের সাথে কোনও সহযোগীতা করছেন না। বার বার বলা সত্বেও স্ক্রিনিং করতে আসছেন না। তাই প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিয়ে ওদের জোর করে আটক করে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে”। বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ কে আলাদা করে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় শনিবার পর্যন্ত ১৫৮ জন ফিরেছেন ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাদের কে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, জেলা শাসক বলেন, “অন্য সবই সহযোগীতা করলেও, ১৫ জন হঠাৎই উধাও হয়ে গেছেন। তারা কোথায় তার খোঁজ বাড়ির লোকেরাও জানে না।। এরাই এখন আমাদের দুশ্চিন্তার কারন”।
কালনা, কাটোয়া সহ পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় বিদেশ থেকে আসা লোকেদের বাড়ি বাড়ি নজরদারির জন্য ইতিমধ্যেই সিভিক পুলিশ ভল্যান্টিয়ারদের কাজে লাগানো হয়েছে।
জেলার ১৪ টি নার্সিং হোম কে করোনা মোকাবিলার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিটি কে ৫ টি করে পৃথক আইসোলেশন ওয়ার্ড রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ প্রনব রায় বলেন, “আমরা মোট ৪০০ বেডের আইসোলেশনের ব্যবস্থা করছি। এক্ষেত্রে বেসরকারি নার্সিং হোমই শুধু নয়। ব্যবস্থা করা হচ্ছে বর্ধমান শহর লাগোওয়া কৃষি খামারের পরিকাঠামোকেও”।
তবে, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর নিজেই কবুল করেছে, জেলায় পর্যাপ্ত পরিমানে ইনফ্রারেড থারমোমিটার নেই। ডঃ রায় বলেন, “জেলায় ১০ টি স্ক্রিনিং সেন্টার খোলা হলেও আমাদের কাছে রয়েছে ৬ টি ইনফ্রারেড গান। জেলাশাসক জানান, “আশা করছি মঙ্গলবারের মধ্যে, আরো কয়েকটি ইনফ্রারেড গান হাতে পাবো আমরা”। বর্ধমান রেল স্টেশনে এ পর্যন্ত ৬৮০০ যাত্রী কে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments