এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ- দুর্ঘটনা রোধ করতে দু নম্বর জাতীয় সড়কে কড়া নজরদারি শুরু করেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। সেই কারণে বৃহস্পতিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর অন্তর্গত বুদবুদ থানার তিল ডাং মরে নতুন ট্রাফিক পুলিশের অফিস উদ্বোধন করলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্ত। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিশনার অফ পুলিশ হেডকোয়াটার অংশুমান সাহা, কাঁকসা এসিপী শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিসিপি ইস্ট অভিষেক গুপ্তা, বুদবুদ থানার ওসি, এবং বুদবুদ থানার ট্রাফিক ওসি ও পুলিশ আধিকারিকরা। এদিন কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্ত সকলকে সাবধানে এবং সচেতন ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য আবেদন করেন। এদিন ট্রাফিক অফিস উদ্বোধন করার পাশাপাশি অফিস চত্বরে বেশ কয়েকটি বৃক্ষ রোপন করেন পুলিশ আধিকারিকরা।
অন্যদিকে জাতীয় সড়ক নির্মানের নামে পানাগড়- মোরগ্রাম রাজ্য সড়কে অবাধে চলছে অবৈধ ওভারলোডেড পাথরবোঝাই ডাম্পার। বীরভুমের পাঁচামী থেকে ওভারলোডিং পাথর বোঝাই ডাম্পার পুলিশ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে নজিরবিহীন ভাবে চালার ছবি ধরা পড়ল পানাগড়-মোরগ্রাম সড়কের ওপর। নেই পুলিশি নাকা চেকিং । ডাম্পারের সামনে ‘অন ডিউটি এনএইচ’ স্টিকার। পিছনে বেআইনীভাবে ওভারলোডিং পাথর। পরিবহন আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিন- রাত অবাধে চলছে ওভারলোডিং পাথর বোঝাই ডাম্পার। কাঁকসায় ও গলসীর সিমনোড় মোড় এলাকায় সড়ক নির্মানের স্টক ইয়ার্ড তৈরী করেছে এক নির্মানকারী সংস্থা। সেখানে পাঁচামী থেকে পানাগড় মোরগ্রাম সড়ক দিয়ে ডাম্পারে পাথর মজুতের কাজ চলছে জোরকদমে। দিনরাত চলছে পাথরের জোগান। সরকারি সংস্থার নাম নিয়ে কিভাবে চলছে বেআইনীভাবে পরিবহন? চালানের ওপর পরিমান উল্লেখ নেই কেন? প্রশ্ন উঠছে চালানের বৈধতা নিয়ে। জানা গেছে, পানাগড়-মোরগ্রাম সড়কের ওপর কাঁকসা থানা এলাকায় কোন নাকা চেক পোস্ট নেই। তবে বীরভুমের ইলামবাজারে রয়েছে সড়কের ওপর টোলপ্লাজা। বীরভুম ও পশ্চিম বর্ধমান শুধু নয় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিনবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম সড়ক পানাগড়- মোরগ্রাম সড়কটি। প্রশ্ন, ওইরকম একটি গুরুত্বপুর্ন সড়কের নাকা চেকিং নেই কেন?

পরিবহন দফতর একটি সুত্রে থেকে জানা গেছে, ৬ চাকার লরি, ডাম্পার ১০ টন, ১০ চাকার লরি ডাম্পার ১৫ টন ও ১২ চাকার লরি ২০ টন পর্যন্ত পন্য বোঝাই করতে পারে। কিন্তু মুনাফার লোভে তার থেকে কয়েকগুন বেশী পাথার বোঝাই করে লরি বা ডাম্পার। প্রায় ৪০-৪৫ টন পর্যন্ত পাথর বোঝাই অবাধে যাতায়াত করছে। পাথরের ওপর কোন ঢাকা দেওয়ার ব্যাবস্থা নেই। ডাম্পারের অতিরিক্ত পাথর পড়ছে সড়কের ওপর। আর ওই পাথর থেকে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। তেমনই বেহাল হয়ে পড়ছে সড়ক। খানাখন্দে ভর্তি হচ্ছে গুরুত্বপুর্ন সড়ক যেমন, তেমনই আবার রাস্তা বসে গিয়ে উচু ঢিপি হয়েছে মাঝে মধ্যে। বিপদজ্জনক দশায় পরিনত হচ্ছে সড়ক। আর এখানেই প্রশ্ন ? সড়কের টেকসইয়ের জন্য ওভারলোডিং যানের ওপর নিষেধাজ্ঞা করা হয়। পুলিশ প্রশাসনের নজর এড়িয়ে উল্টে ওই সড়কের ওপর দিয়ে সড়ক নির্মানের নাম করে অবাধে চলছে ওভারলোডিং পাথরবোঝাই ডাম্পারের যাতায়াত ।
অন্যদিকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আঞ্চলিক অফিস দুর্গাপুর থেকে জানা গেছে, রাস্তা নির্মানের কাজে এধরনের ওভারলোডিং নির্মান সামগ্রী জোগানের কোনরকম অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে, পরিবহন দফতর ও পুলিশের যৌথ টিম পাঠিয়ে অভিযান করতে অনুরোধ করা হবে।