নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- লকডাউন পর্বে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ে সরব অভিভাবকরা। অভিভাবকদের দাবি, স্কুল বন্ধ তাবুও টিউশন ফি ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন খাতে যেমন ইলেকট্রিক, স্কুলে বাসের ভাড়া ইত্যাদি অনলাইন ক্লাসের নামে আদায় করছে স্কুলগুলি। প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি আসানসোল- দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যমের স্কুলগুলির বিরুদ্ধে সরব হয় অভিভাগণ। ফি নিয়ে স্কুল কর্তিপক্ষ ও অভিভাবকদের টানাপড়েনের মধ্যেই মহামারির সময়ে অন্যান্য খাতে বাড়তি ফি কমানোর আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন অভিভাবকরা। সেই মামলা চলছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে প্রতিটি বেসরকারি স্কুলকে আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে ফি সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের মতে এক একটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পারিবারিক অবস্থান এক এক রকমের। অর্থনৈতিক ভাবেও ভিন্ন পরিবেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলগুলিতে পড়তে আসে। কাজেই সকলের জন্য একটিমাত্র নির্দেশ জারি করলে এ ক্ষেত্রে তা সঠিক হবে না। যে কারণে স্কুলগুলিকেই কমিটি তৈরি করে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কোর্ট তার নির্দেশে জানিয়েছে , স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছাড়াও তিনজন শিক্ষক ও তিনজন অভিভাবক নিয়ে কমিটি গড়তে হবে স্কুলগুলিকে। ওই কমিটিই স্কুলের ফি ছাড় সংক্রান্ত বিষয় আলোচনার মাধ্যমে স্থির করবে। এ ব্যাপারে প্রতিটি স্কুলের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে হাইকোর্ট। এদিকে হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তে আপাতত স্বস্তিতে শিল্পাঞ্চলের অভিভাবকরা। তাঁদের আশা এবার স্কুল-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ফি মুকুব সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান মিলবে।