নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ও নৃত্যের উপভোগ্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল ৬ মার্চ সন্ধ্যায় ইস্পাতনগরীর বিধানভবন প্রেক্ষাগৃহে-প্রাচীন কলাকেন্দ্র (চন্ডীগড়) সংস্থার উদ্যোগে। লকডাউন পরবর্তী পর্বে এই অনুষ্ঠানটিই সর্বপ্রথম উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের আসর-যা স্থীনায় সঙ্গীত প্রেমী মানুষকে অনেকদিন পরে শাস্ত্রীয় সংগীতের আস্বাদ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।
মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। অংশ নেন বিশিষ্ট সংগীত ব্যক্তিত্ব বিমল মিত্র, বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, সৌমিত্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তপন দে, মথুরা নাথ ভট্টাচার্য্য এবং প্রাচীন কলাকেন্দ্রর সম্পাদক সজল কোসার।
অনুষ্ঠানের প্রথম শিল্পী ডঃ সমীরা কোসার প্রায় এক ঘণ্টারও অধিক সময় ধরে কত্থক নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করেন। তাঁর সহযোগী শিল্পী হিসাবে মেহেবুব খান (তবলা) ও চন্দচূড় ভট্টাচার্য্য (সেতার)-র উল্লেখযোগ্য সহযোগীতা অবশ্যই মনে রাখার মতো। এরপর, বাঁশি ও বেহালার যুগলবন্দী অনুষ্ঠান পরিবেশন করে শ্রোতাদের তারিফ আদায় করেন রাকেশ কুমার ও সারদাপ্রসূন দাস। শিল্পী দ্বয়ের সঙ্গে যথাযথ দক্ষতায় তবলায় সহযোগীতা করেন জ্ঞানস্বরূপ মুখোপাধ্যায়। পরবর্তী শিল্পী রাগেশ্রী দাস-এর খেয়াল পরিবেশনে মুন্সিয়ানার পরিচিয় মিলেছে। তাঁর সঙ্গে তবলা সহযোগীতার ভূমিকায় ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন তবলাবাদক সৌমিত্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সর্বশেষ অনুষ্ঠান ছিল প্রবাদপ্রতীম তবলা শিল্পী পন্ডিত শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবেশিত তবলা লহরা।
সর্বাঙ্গীন সুন্দর ও সফল সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন দেবদাস সেন। আলোচ্য অনুষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর হিসাবে শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়ের ভূমিকাও নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য।