সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া : ‘সম্মানজনক বেতন বৃদ্ধির দাবী’ জানিয়ে সারা রাজ্যের সঙ্গে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের ‘বৃত্তিমূলক শিক্ষা বিভাগে’ কর্মরত কর্মীচারীবৃন্দ অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছেন। গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে তারা এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন। উল্লেখ্য, বাঁকুড়া জেলার যে সমস্ত স্কুল গুলিতে বৃত্তিমূলক শিক্ষার সুযোগ রয়েছে, তাদের সমস্ত ধরণের কাজ বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকেই পরিচালিত হয়। মাত্র পাঁচ জন কর্মী এই কাজে যুক্ত থাকলেও তারা অতি সামান্য বেতনে দিনের পর দিন এই কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। কর্মবিরতিতে অংশ নিয়ে রাহুল দেবনাথ, দীপেন সাউরা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর সামান্য বেতনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই অবস্থায় দৈনন্দিন সংসার খরচ চালানোটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠিকে গেছে। বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস না পেলে লাগাতার কর্মবিরতি তারা চালিয়ে যাবেন বলে জানান।এই কলেজের নোডাল সেন্টারে কর্মরতদের কর্মবিরতিতে সমর্থণ জানিয়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষা চালু থাকা স্কুলের শিক্ষকদের একাংশও। বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের শিক্ষক সমীর দে মোদক আন্দোলনকারীদের দাবীকে পূর্ণ সমর্থণ জানিয়ে বলেন, ওনাদের কর্মবিরতি চলার কারণে আমরা নোডাল সেন্টারে কাজে এসে ফিরে যাচ্ছি। তারপরেও বলবো ওদের ন্যায্য দাবী সরকারপক্ষ মেনে নিক। এবিষয়ে বিষ্ণুপুর কেজি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ অভিজিৎ ব্যানার্জ্জী বলেন, আমাকে ও উর্দ্ধতন কর্ত্তৃপক্ষকে জানিয়েই ওনারা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। অনেক দিন ধরেই বেতন বৃদ্ধি হবে শোনা যাচ্ছে, কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। ২০০৬ সাল থেকে অতি সামান্য বেতনে ন্যুনতম স্নাতক পাশ করা এই কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ ২০১০ সালে ৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হয়েছিল। তার পর থেকে আর কোন বেতন বৃদ্ধি হয়নি। এবিষয়ে যা সিদ্ধান্ত উর্দ্ধতন কর্ত্তৃপক্ষ নেবেন বলে তিনি জানান।