নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুর:- ফের শোরগোল দুর্গাপুরের কলেজে। মলানদিঘির একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বুধবার সন্ধ্যায় ছাত্র আন্দোলনের জেরে পুলিশ মোতায়ন করতে হয়। বেশ কিছু ছাত্র দফায় দফায় দেড় থেকে পৌনে দুই মিনিটের ভিডিও ক্লিপিং সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে, বারে বারে অভিযোগ করতে থাকে, “কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে প্রতারণা করে। মাইক লাগিয়ে সনকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যেসব ছাত্রছাত্রী সেমিস্টারের ফি দিতে পারেনি তাদের কে “চোর” অপবাদ দিচ্ছে। কোনও কারনে ফি দিতে দেরি হওয়া কি চুরি করা? “

এইসব পোস্টের এর সাথে সাথেই উত্তেজিত ছাত্র’রা কলেজের গেট বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষক ,অশিক্ষক কর্মীদের রাত্রি পর্যন্ত কলেজে আটকে রাখে। ছাত্রদের আরও অভিযোগ, “টাকা ডীঊ থাকলে অ্যাডমিট দেওয়া হবে না। মায়ের অসুস্থতার কারণে এক ছাত্রের পরীক্ষার ফি দিতে দেরি হওয়ায় তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়।” ছাত্রদের অভিযোগ “পুলিশ ব্যবহার করে কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের বারবার হুমকি দিচ্ছে। ছাত্র আন্দোলন আয়ত্বের বাইরে যাওয়ায় সনকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষ কাঁকসা থানা থেকে আরও ফোর্স পাঠানোর আবেদন করে। রাত্রি ৯ টা নাগাদ আন্দোলন তীব্রতর হয়। এ সময় ছাত্রদের একাংশ হুমকি দেয় তারা আর কেউ {বি. টেক} পড়বে না। তাদের জমা করা টাকা যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয় । এদিকে গোটা ঘটনায় সনকা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে একদল ছাত্র সরকার নির্ধারিত আইনের তোয়াক্কা না করে বাড়াবাড়ি করছে। ওরা কলেজের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে। কলেজের পক্ষ থেকে পার্থ পবি জানান “আমরা ছাত্রদের প্রতি সম্পূর্ণভাবে সহানুভূতিশীল। ওদের কথা শুনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।