নিজস্ব সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- যবনিকা পড়ল জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিদ্রোহে। তৃণমূলেই থাকছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ১৮ ডিসেম্বর রাতে তৃণমূল নেতা অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানিয়ে দিয়েছেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে যাবতীয় মতবিরোধ মিটে গেছে বলে জানিয়ে দেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। জিতেন্দ্র তিওয়ারি নিজেই বলেন, আমি তৃণমূলেই থাকছি । অরূপদা আমাকে বলেছেন, মমতাদি আমার আচরণে আঘাত পেয়েছেন। মমতাদিকে আমি আঘাত দিতে চাই না। আমি দিদির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবো । দল ছাড়ার কথা বলা ভুল হয়েছিল । আমি যেমন দলের কাজ করছিলাম তেমনই করবো ।
এপর্যন্ত সব ঠিক আছে, কিন্তু পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় যেসমস্ত তৃণমূলের ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, অফিস ভাঙচুর করেছে, তারা এবার কি করবেন ? তারা কি আর জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারবেন ? জিতেন্দ্রবাবু যে ভাষায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে আক্রমণ করেছেন, দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, তা কি তৃণমূলীরা ভুলতে পারবেন ? জিতেন্দ্রকে কি আর বিশ্বাস করতে পারবেন তারা ?
এখন প্রশ্ন হলো, এরপর আগামীদিনে জিতেন্দ্রবাবু কি আসানসোল পুরসভার প্রশাসক-এর পদ ফিরে পাবেন ? পাশাপাশি তিনি কি তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদটি ফিরে পাবেন ? তৃণমূল অন্দরমহলের গুঞ্জন, জিতেন্দ্রবাবুকে আর আসানসোল পুরসভার প্রশাসক এবং তৃণমূলের জেলা সভাপতি করবে না দল । শোনা যাচ্ছে, মন্ত্রী মলয় ঘটক কিংবা দুর্গাপুরের প্রাক্তন মেয়র তথা বিধায়ক অপূর্ব মুখার্জিকে জেলার দায়িত্বে আনা হতে পারে । এমনটা যদি হয় তখন জিতেন্দ্রবাবু কি করবেন ? যে জিতেন্দ্রবাবু এতদিন দাপটের সঙ্গে জেলা সামলেছেন, পুলিশ প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করেছেন। এখন জিতেন্দ্রবাবুর হাতে যদি সেই ক্ষমতার দন্ডটি না থাকে তাহলে কি তিনি হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন ? তাহলে আগামীদিনে জিতেন্দ্রবাবুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি ?