এই বাংলায় ওয়েব ডেস্কঃ- দেশে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমন। দৈনিক করোনা সংক্রমণ এবার সওয়া লক্ষ ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৭৮৯ জন। একদিনে আক্রান্তের নিরিখে এই সংখ্যা এখনও অবধি সর্বোচ্চ। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯ লাখের গণ্ডি পেরল। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯ লক্ষ ১০ হাজার ৩১৯। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করেছিলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা মারাত্মক হতে চলেছে ৷ কারণ দ্বিতীয় ধাপে করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে আগের থেকে সাত গুন দ্রুত হারে। আর এই সংক্রমণকে টিকা ছাড়া আর অন্য কোনওভাবে প্রতিরোধ করা যাবে না বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাই টিকাকরণের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই মারণ রোগকে আটকাতে ভ্যাকসিনেশনের গতি আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কাজের জায়গায় ভ্যাকসিন সেন্টার করে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ হচ্ছে। যে সব অফিসে ১০০ -র বেশি কর্মচারী আছে সেখানেই ভ্যাকসিন সেন্টার করা যেতে পারে৷ বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকায় ১১ এপ্রিল থেকে এই সুবিধা চালু হবে৷ এতে প্রচুর মানুষকে আর ভ্যাকসিনেশন সেন্টার অবধি যেতে হবে না৷
কাজের জায়গাতে যখন ভ্যাকসিনেশন হবে তখন শুধু ৪৫ বছর ও তার বেশী বয়সের ব্যক্তিরাই নয় তার চেয়ে কম বয়সী কর্মচারীরাও ভ্যাকসিন নিতে পারবেন৷ তবে কর্মস্থলে শুধুমাত্র কর্মীদেরই ভ্যাকসিনেশন হবে, কোনও বাইরের লোক সেখান থেকে ভ্যাকসিন পাবেন না৷ সব ভ্যাকসিনেশন কোউইন অ্যাপে রেজিস্ট্রার করেই করতে হবে৷ প্রসঙ্গত ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছর ও তার বেশী বয়সী সমস্ত মানুষদের ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়ে গেছে৷
কোন কোন অফিসে এইধরণের ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প বসবে তা স্থির করবে ডিটিএফ যা জেলার ডিএম৷ জেলাশাসকের নেতৃত্বে তৈরি এই টিম টাস্কফোর্স তৈরি করবে৷ এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় আর্বান টাস্কফোর্সও এই কাজ করবে। নোডাল অফিসার ভ্যাকসিনেশনের সব ব্যবস্থা দেখবেন৷