বিশেষ প্রতিনিধি, বহরমপুরঃ- দু’ বছর বন্ধ থাকার পর গম চাষের ছাড়পত্র নতুন করে মিলতে চলেছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক গম এই জেলাতেই বেশি চাষ হয়ে থাকে।
২০১৬ সালে শেষ গম চাষ হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। সেবার মোট ৮০ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়। রাজ্য কৃষি দপ্তর ২০১৭ থেকে জেলায় ডাল শষ্য ও তেল বীজ চাষে জোর দেওয়ার নিদান দেয়। কিন্তু, কৃষি আধিকারিকেরা জানান, ” এ জেলায় ডাল, তেল বীজ চাষে তেমন সাফল্য না মেলায় – সরকার গম চাষের নিষেধাজ্ঞা এবার উঠিয়ে নিতে চলছে”। তবে, গম চাষের অনুমতি মিললেও, সরকারি সহায়তা হিসাবে, বীজ সার কিছুই এবার দেওয়া হবে না মুর্শিদাবাদের চাষীদের, বলে কৃষি কর্তারা জানান।
জেলায় এবার চার প্রজাতির গম চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
নতুন করে গম চাষের অনুমোদনে জেলার কৃষকদের মধ্যে খুশির হাওয়া। নওদা, ভগবানগোলা থেকে ডোমকল, লালগোলার চাষীরা বারে বারে দু, বছরে জেলায় গম অমিল থাকার দরুন আটার দাম বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। বিষয়টি সংসদ অধীর চৌধুরীর নজরেও আনা হয়। তবে, অধীর অবশ্য বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের সাথে কথা বলেননি।
সারা দেশে গমই হল প্রধান রবি শষ্য। গোটা দেশে এ বছর গম চাষের পরিমান উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমে গেছে। গম চাষ শুরু হয় অক্টোবর মাস থেকে। গত বছর দেশে ১৫.৩৫ লক্ষ হেক্টর গম চাষ হয়েছিল, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ অব্দি গম চাষের বীজ বোনা হয়েছে ৯.৬৯ লক্ষ হেক্টরে। পশ্চিমবঙ্গেঁ, সারা দেশের অনুপাতে গম চাষ কমই হয়। বেশি চাষ হয় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশে। এ বছর মধ্যপ্রদেশে ৭৪০০০ হেক্টর কম চাষ হয়েছে আর পাঞ্জাবে গত বছরের ৪.৬৮ লক্ষ হেক্টরের চাষ কমে ৪.২০ লক্ষ হেক্টরে দাঁড়ায়। কেন্দ্রের কৃষি মন্ত্রকের একটি সূত্র জানায়, হরিয়ানাতেও এবার গত বছরের তুলনায় ১.১৬ লক্ষ হেক্টর গম চাষ কমেছে।