সংবাদদাতা, মালদাঃ- আমরা সবাই জানি ঠাকুর নিরঞ্জনের সময় ডিজে মিউজিক বাজে। কিন্তু শ্মশান যাত্রায় ডিজে বাজতে কি কেউ আপনারা দেখেছেন কখন? পরিবার পরিজনের অন্তিম যাত্রায় কখনও কি ডিজে বাজতে পারে এই প্রশ্নটাই কিন্তু সবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে আমরা যাই ভাবি না কেন, ঠিক এমন অবাক কান্ডটাই ঘটেছে , মালদহের মানিকচক থানার মথুরাপুরের ধনরাজটোলা গ্রামে। এদিন ধনরাজটোলা গ্রামের বাসিন্দা রফি হালদার নামে এক ব্যাক্তির দীর্ঘ ১০৭ বছর পর তার হঠাৎই মৃত্যু হয়। রফি মহলদারের পরিবারের তরফ থেকে জানা গেছে, দিন দিন যত বয়স বাড়ছিল ততই বার্ধক্যজনিত রোগে জর্জরিত হচ্ছিল রফি মহলদার। তাই স্বাভাবিক ভাবে বাড়িতে ডাক্তারের আনাগোনা সব সময় লেগেই থাকত। কিন্তু নতুন বছরের প্রথমেই হল ছন্দপতন। বার্ধক্যজনিত রোগে এদিন রফি হালদারের মৃত্যু হল। স্বাভাবিক বাড়িতে গভীর শোকের ছায়ার নামার সাথে কান্নাকাটি লেগে যাওয়ার কথা। কিন্তু বৃদ্ধের মৃত্যুর পর তাদের পরিবারের চিত্রটা একেবারেই অন্যরকম। শতবর্ষ গন্ডি পেরোনো দাদুর মৃত্যুতে কান্নাকাটি তো দুরের কথা সবার মধ্যে যেন এক উৎসবের আবহ তৈরী হয়েছে। ফুল হাতে নিয়ে পরিবারের সবাই প্রথমে রফি মহলদারের দেহতে ফুল নিবেদন করে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর দেহটি শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন পরিবারের সবাই। মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই দেখা যায় ডিজে বাজতে। খই ছড়ানোর সাথে সাথে ছড়ানো হয় আবির। পরিবারের একে অপরের মুখে আবির মাখায়। এর সাথে সাথে ফাটানো হয় প্রচুর আতশবাজি। রফি মহলদারের নাতি সুকুমার বলেন, “১০০ বছর অতিক্রম করে যাওয়ার পরে দাদুর মৃত্যু হয় এতেই সকল গ্রামবাসী খুশি। তাই আনন্দ ও উল্লাস করতে করতেই দাদুকে শ্মশানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে”। অন্যদিকে ডিজে মিউজিক বাজিয়ে শব্দ বাজি ফুটিয়ে মৃতদেহ সৎকার করতে সাধারনত নিয়ে যাওয়া হয় না। তাই রাস্তা দিয়ে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু কিছু গ্রামবাসী কিছুটা অবাক হয়েছেন