নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর:– বাবা সত্যজিৎ সিং ও মা বীনা সিং-এর মেজো মেয়ে পরশমণি। প্রায় বছর সাতেক আগে বাবা-মায়ের সঙ্গে ট্রেনে যাওয়ার পথে হঠাৎই হারিয়ে যায় মেজো মেয়ে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়, খোঁজাও হয় চারিদিকে। কিন্তু শেষমেষ খোঁজ না মেলায় একপ্রকার আশাই ছেড়ে দেন বাবা মা। তবে ৭ বছর পর বাড়ি ফিরছে পরশমণি। দাঁতনের এক স্বেচ্ছাসেবী হোম থেকে বাড়ি ফিরছে সে।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সাল নাগাদ বালিচক থেকেই হারিয়ে যায় সে। ট্রেনে ভূল করে কোনভাবে বর্ধমানে চলে যায় বছর ১১-এর পরশমণি। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইন। মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিল পরশমণি। বর্ধমান থেকে তাকে উদ্ধার করে পরে মেদিনীপুরে সরকারী হোমে রাখা হয়।মেদিনীপুরে বেশ কয়েক বছর রাখার পর, ২০২০ সাল নাগাদ তাকে দাঁতনের বেসরকারী হোমে নিয়ে আসা হয়। এরপরই দাঁতনে হোমে থেকে চিকিৎসা শুরু হয় পরশমণির। আস্তে আস্তে নাম পরিচয় পরিবারের খোঁজ বলে পরশমণি। এরপরই পরিবারের খোঁজ শুরু করে হোম কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, বালিচকেই পরিবার নিয়ে থাকতেন পেশায় সাপুড়িয়া সত্যজিৎ সিং। পরে বালিচক থেকে চলে যায় সিং পরিবার। বর্তমানে পরিবারের সকলে ওড়িষ্যার জলেশ্বরে থাকে। অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরছে পরশমণি। পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা শাসকের দপ্তর থেকে অতিরিক্ত জেলা শাসক পরশমণিকে তার বাবার হাতে তুলে দেন। কিন্তু মায়ের আর দেখা পাবে না পরশমণি। কারণ মাস কয়েক আগেই মৃত্যু হয়েছে তার।