নিউজ ডেস্ক, এই বাংলায়ঃ এবার দুর্গাপুরের আনন্দ এমিউসমেন্ট পার্কের কর্মীদের প্রাপ্য ইএসআই ও পিএফ-র টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল এক বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থার বিরুদ্ধে কর্মীদের বেতন আটকে রাখা, ঠিক সময়ে বেতন না দেওয়া, অভব্য আচরণের অভিযোগও তুলেছেন ওই দুর্গাপুরের আনন্দ পার্কে কর্মরত ওই ১৫ জন পুরুষ ও মহিলাকর্মী। পার্কের কর্মীদের বয়ান থেকে জানা গেছে, ভিনলেন নামে এক বেসরকারি সংস্থার অধীনে তারা ২০১২ সাল থেকে কাজ করছেন। তাদের অভিযোগ, গতকাল তাদেরই এক সহকর্মী দুলাল ঘোষ তার স্ত্রীকে অসুস্থতার কারণে দুর্গাপুরের বিধাননগরে ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার ইএসআই কার্ড পরীক্ষা করে জানান যে তার কার্ডে কোনও টাকা জমা পড়েনি এবং তৎক্ষনাত তাদের হাসপাতালের বেড ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়। কিছু বুঝতে না পেরে তারা বেড ছেড়ে দিলেও ভালোই বুঝতে পারেন যে সংস্থার হয়ে তিনি কাজ করছেন সেই সংস্থা প্রত্যেক মাসে তাদের কাছ থেকে ইএসআই এবং পিএফ বাবদ টাকা কেটে নিলেও আদপে সেই টাকা তাদেরচ অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে না। এই ঘটনা জানাজানি হতেই আনন্দ পার্কে ওই সংস্থার হয়ে কর্মরত বাকি কর্মীরা তাদের অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে জানতে পারেন তাদের টাকাও জমা পড়েনি। ওই সংস্থায় কর্মরত এক মহিলা কর্মী সুমনা সিংহ ঠাকুর জানালেন, ২০১২ সাল থেকে তিনি কাজ করেছেন ওই সংস্থায়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত কাজ করলেও তিনি কোনও অজানা কারণে পিএফের টাকা তুলতে না পারায় ক্ষোভে চাকরি ছেড়ে দেন। তাঁর অভিযোগ, একেই সময় মতো বেতন দেওয়া হত না, তার ওপর তার নিজস্ব পিএফের টাকাও ৪ বছর যাবত তুলতে পারেন নি। কর্মীদের অভিযোগ ওই সংস্থার আধিকারিক যিনি দুর্গাপুরের আনন্দ পার্কে কর্মরত এই কর্মীদের কাজকর্ম এবং সমস্ত বিষয়ে দেখাশোনা করেন তিনি ৮ মাস যাবৎ তাদের কোনও সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে দেখছেন না। তাদের পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত করছে। প্রতিবাদে তারা স্থানীয় ৩২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, উপশ্রম বিভাগ এবং দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের দাবি, অবিলম্বে ওই সংস্থা তাদের বকেয়া পিএফ এবং ইএসআই-র টাকা ফেরত দিক।