eaibanglai
Homeএই বাংলায়" বিজেপির দালাল, বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও" -...

” বিজেপির দালাল, বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও” – বিস্ফোরক মন্তব্য রাজু চ্যাটার্জীর

দুর্গাপুরঃ শিল্পশহরে আবারও শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দলের আঁচ। সোমবার ইস্পাত কারখানার অভ্যন্তরে শাসকদলের শ্রমিক সংগঠনের বিক্ষোভ সমাবেশ অন্তত সেই তথ্যই তুলে ধরল। ইস্পাত কারখানার অভ্যন্তরে কর্তপক্ষকে তুলোধনা করার পাশাপাশি কংগ্রেস বিধায়ক তথা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে “বিজেপির দালাল” ও “তাঁর কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও” বলে স্লোগান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন জনৈক রাজু চ্যাটার্জী। জানা গেছে, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই শ্রমিক ও ম্যানেজমেন্টের মধ্যে তরজা চলছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার শ্রমিকদের পক্ষে দাঁড়িয়ে ম্যানেজমেন্টের বিরোধিতায় সরব হন রাজু চ্যাটার্জী। কারখানার ভেতরেই কর্তৃপক্ষের দ্বিচারিতা নীতির অভিযোগ তোলার পাশপাশি দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক তথা শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে “বিজেপির দালাল” বলে মন্তব্য করেন তিনি। এখানেই থেমে না থেকে বিধায়ককে আক্রমণআত্মক ভাষায় জনসমক্ষে স্লোগান তুলতে শোনা যায়। এই ভিডিওটি জনসমক্ষে আসতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্কের ঝড়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কে এই রাজু চ্যাটার্জী?

তিনি যদি শাসকদলেরই সমর্থক হয়ে থাকেন তাহলে কিভাবে প্রকাশ্যে একজন দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে এরকম কুরুচিকর মন্তব্য কেন করলেন তিনি? যেখানে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি পদে বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে সভাপতি হিসেবে গোটা দুর্গাপুর মেনে নিয়েছে, তখন হঠাত করে কেনো এই বিক্ষোভ? বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে উদ্দেশ্য করে এহেন কুরুচিকর মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের আঁচ বাড়িয়েছে দলের অন্দরে। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই এই প্রশ্নও এখন মানুষের মুখে মুখে। তাহলে কী ফের শিল্পশহরে ক্রমে মাথাচাড়া দিচ্ছে শাসকদলের অন্তর্কলহ। নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? অন্যদিকে সোমবার এই ভিডিও যখন জনসমক্ষে তখন আরেক দিকে দুর্গাপুরের এডিডিএ ভবন সংলগ্ন এলাকায় প্রায় দশ হাজার মানুষের এক মহামিছিল বের হয় বাংলা বনধের বিরোধিতা ও ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি সারতে। মিছিলে পা মেলালেন স্বয়ং দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল সহ শাসকদলের জেলার সমস্ত হেভিওয়েট নেতারা। আর যাকে লক্ষ্য করে এই কটূক্তি, সেই শ্রমিক নেতা বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের তরফেও এই বিষয়ে এখনও কোনও রকম মন্তব্য পাওয়া যায় নি।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments