eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুরের ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের উদ্যোগে প্রমীলা বাহিনীর পিঠে-পার্বন উৎসব

দুর্গাপুরের ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের উদ্যোগে প্রমীলা বাহিনীর পিঠে-পার্বন উৎসব

নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুরঃ শীতকাল মানেই যেমন বনভোজন আর আনন্দ-উৎসবের সময়, তেমনি কব্জি ডুবিয়ে নানা পিঠে-পুলি খাওয়ার শুভক্ষন। পৌষ-পার্বনে পিঠে খান না এমন বাঙালী আছেন বলে তো মনে হয় না, তার ওপরে আপনি যদি হন খাদ্যরসিক তাহলে তো পুরো বিষয়টাই জমে ক্ষীর। ক্ষীর কথার মধ্যেও সেই ক্ষীর পুলির কথা মনে যায় তাই না? যাইহোক আবারও সেই বছর ঘুরে পৌষ মাস এসে গেল। আর পৌষ আসা মানেই সেই বিখ্যাত গানের কলি “পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে……আয় রে চলে আয়…আয়…আয়” মনে পড়ে যায়। কিন্তু এখানে পৌষ ডাক দিয়েছে কিনা জানা নেই তবে, দুর্গাপুরের স্টীল টাউনশীপের ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের মনি দাশগুপ্তের ডাকে সাড়া দিয়ে পিঠে-পুলি উৎসবে বাড়ির গৃহিনীরা যে ছুট দিয়েছেন তা বলা যায়। বিষয়টা একটু পরিষ্কার করা যাক। পৌষ-পার্বণ উপলক্ষ্যে এলাকার কাউন্সিলার মনি দাশগুপ্তের উদ্যোগে এবছর দুদিন ব্যাপী পিঠে-পুলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে দুর্গাপুরের তিলক রোড এলাকায়। যেখানে এই অনুষ্ঠানের পুরোভাগে রয়েছেন বাড়ির গৃহিণীরা। পিঠের বিভিন্ন স্বাদ দুর্গাপুরবাসীর কাছে তুলে দিতে গৃহিনীরা বাড়িতে বসেই পিঠে-পুলির বিভিন্ন পদ তৈরী করবেন আর তারপর সেই পিঠের স্বাদ জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে এই মেলায়। ১৩ ও ১৪ই জানুয়ারী দুদিন ব্যাপী চলবে এই মেলা। তবে এই পিঠে-পুলি মেলায় প্রথম নয়। ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হিসেবে আসার পর থেকেই কাউন্সিলার মনি দাশগুপ্তের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাড়ির মহিলাদের একত্রিত করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে। সে রবীন্দ্র জয়ন্তী হোক, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে প্রভাত ফেরী হোক কিংবা পিঠে উৎসবই হোক। সমস্ত অনুষ্ঠানে এলাকার মহিলাদের উদ্যোগী করে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেছেন কাউন্সিলার স্বয়ং। ফলে একদিকে যেমন গৃহিনীরাও একঘেয়েমি জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছেন তেমনি সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন মহিলারাও। কাউন্সিলার হিসেবে মনি দাশগুপ্তের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments