মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের ধাঁচে বাঁকুড়ায় ব্লকে ব্লকে পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করল জেলা প্রশাসন

570

সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ-

মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের ধাঁচে এবার বাঁকুড়া জেলার প্রতিটি ব্লকে পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করল বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। আজ রানীবাঁধে একটি পর্যালোচনা বৈঠকের মধ্য দিয়ে সূচিত হয় এই উদ্যোগ। জেলা স্তরের সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্লক স্তরের সমস্ত আধিকারিক ও প্রতিনিধিরা।
২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর থেকেই জেলায় জেলায় ঘুরে প্রশাসনিক বৈঠক করে জেলার উন্নয়নের খোঁজ খবর নেওয়া ও প্রয়োজন মতো নির্দেশ দেওয়ার রীতি চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের জেলায় নিয়ে গিয়ে সেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই একই ধাঁচে বাঁকুড়া জেলার প্রতিটি ব্লকে জেলা স্তরের আধিকারিকদের নিয়ে গিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকের উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন।

আজ রানীবাঁধের বিডিও অফিস লাগোয়া সভাঘরে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে জেলা শাসক উমাশঙ্কর এস, পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও, রানীবাঁধের বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, সহ সভাধিপতি শুভাশিষ বটব্যাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক, মহকুমা শাসক, বিডিও এবং প্রতিটি দফতরের জেলা স্তর ও ব্লক স্তরের আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন রানিবাঁধ পঞ্চায়েত সমিতি ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত গুলির জনপ্রতিনিধিরা। সভায় বন দফতরের জেলা স্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা শাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।

বৈঠকে একশো দিনের কাজের প্রকল্প থেকে শুরু করে মিশন নির্মল বাংলা ও অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নেন জেলা শাসক। কোনো প্রকল্প আটকে থাকলে সে বিষয়ে সবিস্তার জেনে তা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়। এদিনের পর্যালোচনা বৈঠক শুরুর আগে জেলা শাসক রানীবাঁধ ব্লকের রাওতোড়া পঞ্চায়েতের রাঙ্গাডি গ্রাম ও গ্রামের একটি আইসিডিএস কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ওই গ্রামে ও আইসিডিএস কেন্দ্রে বেশ কিছু সমস্যা চিহ্নিত করে দ্রুত তা সমাধানের জন্য রানীবাঁধের বিডিও ও সিডিপিও কে নির্দেশ দেন জেলা শাসক। এই পর্যালোচনা বৈঠকের মধ্য দিয়ে আটকে থাকা উন্নয়নমূলক সরকারি প্রকল্পগুলি রুপায়নে গতি আসবে বলেই আশাবাদী সকলে। এবং এই ব্লকে অপুষ্টি শিশুর সংখ্যা ৬০ টি হওযায়, জেলাপরিষদের সভাধিপতি এবং সহ সভাধিপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দত্তকের কথা উল্লেখ করে তাদের ভাতার টাকা দিয়ে অপুষ্ট বাচ্চাদের পুষ্টিজাতীয় খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার কথা বলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here