দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, খুশির হওয়া বাঁকুড়ার আদিবাসী সমাজে

320

সংবাদদাতা,বাঁকুড়া:- ক্ষমতাসীন এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। যার জেরে খুশির হাওয়া বাঁকুড়ার আদিবাসী সমাজে।

প্রথমে দেখে নেওয়া যাক, কে এই দ্রৌপদী মুর্মু ? ১৯৫৮ সালে ২০ জুন দ্রৌপদীর জন্ম হয় ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে এক সাঁওতালি পরিবারে। বাবার নাম নারায়ন টুডু । ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন দ্রোপদী। জন্মভূমি ওড়িশা থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু তাঁর। কাউন্সিলর হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন তিনি। পরে ওড়িশায় বিজু জনতা দল ও ভারতীয় জনতা পার্টির জোট সরকারের সময় বাণিজ্য এবং পরিবহন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। পরে ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বভার পালন করেন। তিনিই প্রথম মহিলা আদিবাসী নেত্রী যিনি রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলেছেন। এবার ভারতের রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে তিনি। তিনি যদি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তাহলে আদিবাসী মহিলা হিসেবে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতিহাস রচনা করবেন দৌপদী মুর্মু। ওড়িশার সমস্ত বিধায়ক এবং সাংসদের সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে তিনি আশাবাদী বলেও জানিয়েছেন দ্রৌপদী।

আর এই ইতিহাস রচনার সাক্ষ্মী হতে এখন অপেক্ষা করছেন বাঁকুড়া জেলার আদিবাসী সমাজের মানুষজন। দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ায় ইতিমধ্যেই খুশির হাওয়া আদিবাসী সমাজে। করণ মুর্মু , গণেশ হেমব্রমরা জানান , আদিবাসী সমাজের কাছে এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বর্তমান সময়ে আদিবাসী সমাজ থেকে একাধিক নেতা মন্ত্রী বিধায়ক সাংসদ থাকলেও রাষ্ট্রপতির পদ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি কেউ। তাই আদিবাসী সমাজ থেকে প্রার্থী নির্বাচিত করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সকলে। দৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি হলে একদিকে যেমন সমাজ গর্বিত হবে অন্যদিকে তেমনই সমাজের কিশোর তরুণ তরুণীরা তাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে পাবে বলেই মনে করেছেন জেলার আদিবাসী জনজাতির মানুষজন। পাশাপাশি তিনি দেশের পিছিয়ে পড়া জনজাতী গোষ্ঠীর উন্নয়নেও সহায়তা করবেন বলেই আশাবাদী জেলার আদিবাসী সমাজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here