eaibanglai
Homeএই বাংলায়দুর্গাপুর ব্যারাজের সেতু মেরামতি, তাই ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করল বাঁকুড়া প্রশাসন...

দুর্গাপুর ব্যারাজের সেতু মেরামতি, তাই ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করল বাঁকুড়া প্রশাসন , ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়াঃ দামোদর নদের ওপর ব্যারাজের মূল সড়কের বেহাল দশা। সংস্কার করার কাজ শুরু হবে দুদিন পরেই। তাই, দুর্গাপুর শহরের সাথে বাঁকুড়া জেলার সংযোগকারী সেতু দিয়ে পারাপারকারি যান চলাচলে নিয়ন্ত্রন ঘোষনা করল জেলা প্রশাসন। টানা পাঁচ দিনের জন্য। কার্যত, ভারী যান চলাচলে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল ওই পাঁচ দিনের জন্য। ফলে, যাত্রীবাহী বাস চলাচলের পাশাপাশি সমস্যায় পড়বে দক্ষিন ভারতের রাজ্যগুলি থেকে আসা পণ্যবাহী লরির পরিবহনও । দুর্গাপুর ব্যারাজের সেতুটিই হল- বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের সাথে দুর্গাপুর তথা উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের প্রধান সড়ক যোগ। গত কয়েকমাস যাবৎ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে সেতুর সড়কটির করুন দশা। যত্রতত্র পট হোল, রাস্তার চাঙ্গঁর যাকে বলে ছাল চামড়ার মতো উঠে গেছে। চলতি বর্ষা মরশুমে অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে, দাঁড়িয়েছে। বিশেষতঃ মোটর- বাইক সওয়ারী, ছোট চারচাকার গাড়ী প্রায়শই বিপর্যয়ে পড়ছে। রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে, জুলাই মাসে ব্যারাজে বিক্ষোভ ও দেখান একদল যাত্রী। বাস চালকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিষেবা বন্ধের হুমকিও দেওয়া হয়। গোটা পরিস্থিতি পয্যালোচনা করে, সেচ দপ্তরের দুর্গাপুরস্থিত দামোদর হেডওয়ার্কের নির্বাহী বাস্তুকার গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি (নং- ১১৯২) জারি করে সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বিশেষতঃ বাঁকুড়ার দিকে ব্যারাজের ২৯ নং গেট থেকে ৩৪ নং গেট সংলগ্ন সেতু- সড়কের আগাপাস্তলা সংস্কার বলে নির্বাহী বাস্তুকার তার বিজ্ঞপ্তিতে জানান। সেই সঙ্গে ব্যারাজের ২০ নং গেট থেকে ২৮ নং গেট সংলগ্ন সেতু সড়কের বড় বড় পটহোল মেরামতির কথাও ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। সেই মোতাবেক, দামোদর হেডওয়ার্কসের তরফ থেকে সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচলের নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই, বাঁকুড়ার জেলাশাসক ডঃ উমাশংকর এস, ব্যারাজের সেতু দিয়ে যানচলাচলে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ জারি করেন গতকাল। জেলাশাসকের ওই নির্দেশে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর অব্দি ব্যারাজের সড়ক দিয়ে ভারী যান চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ছোটগাড়ী চলাচলের ক্ষেত্রে সেতুর ওপর গাড়ীর গতিবেগ ১০ কিমি/ ঘণ্টা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক জানান, “সেতুর সড়কের মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments