দুর্গাপুরের কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া মনু সাহার জামিন নাকচ

1171

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- অবৈধ কয়লা কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে কয়েক দিন আগে গ্রেফতার হলেন দুর্গাপুরের ব্যবসায়ী তথা বেসরকারি কলেজের মালিক মনু সাহা। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সিটি সেন্টার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় রানীগঞ্জ থানায়। মনু সাহাকে আসালসোল জেলা আদালতে তোলা হলে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

বিশেষ সূত্র মারফত জানা গেছে রাজ্যে বেআইনি কয়লা কারবারের সাথে যুক্ত ছিলেন মনু সাহা। গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে তার নাম উঠে আসায় তাকে গ্রেফতার করা হয। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ জুন রানীগঞ্জে প্রায় ৫০ টন অবৈধ কয়লা বোঝাই দুটি ডাম্পার আটক করে সিআইএসএফ। এর পর তদন্তে নেমে পুলিশ ও সিআইএসএফ জানতে পারে ডাম্পার দুটির নম্বর প্লেট ভুয়ো। ওই কয়লা বোঝাই ডাম্পার রানীগঞ্জের একটি কারখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে এই অবৈধ কয়লা কারবারের মাথা দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মনু সাহা। নিয়মিত ভাবে ডাম্পারে ভুয়ো নম্বর প্লেট লাগিয়ে বীরভূম, বর্ধমান ও বাঁকুড়ার বিভিন্ন কারখানায় অবৈধ কয়লা পাচার হচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন খনি থেকে এইসব অবৈধভাবে কয়লা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কারখানায় পাচার করা হচ্ছে। দুর্গাপুরের ব্যবসায়ীকে হেফাজতে নিয়ে অবৈধ কয়লা কারবার তদন্তে গতি আনতে চাইছে পুলিশ।

এদিকে সূত্র মারফত জানা গেছে বর্তমানে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে মনু সাহার নিবাস। ইস্পাত নগরীতে বসবাস করতেন প্রথম জীবনে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় ঠিকাদারি ও একটি ক্যান্টিন চালাতেন , পরে পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফুলে ফেঁপে ওঠে মনু সাহা। সূত্র মারফত জানা গেছে দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে মনু সাহার একটি ম্যানেজমেন্ট কলেজ আছে। এছাড়াও বি সি রায় এভিনিউয়ে একটি কারখানার শেডো রয়েছে তার। দুর্গাপুর, আসানসোল সহ ঝাড়খণ্ডের একাধিক কয়লা মাফিয়া সাথে গভীর যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে এই কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া মনু সাহার। কিছুদিন আগে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে কলকাতার রাজারহাটের নিবাসী এক ব্যক্তিকে মারধর করেন কয়েকজন দুর্গাপুরের যুবক। ঘটনা সুত্রে জানা যায় মনু সাহা দুর্গাপুরের এক ব্যক্তির কন্যাকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় ডাক্তারের পদে নিয়োগ করবে বলে নগদ ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন এবং সেই টাকা নাকি কলকাতার রাজারহাটের নিবাসী ওই ব্যক্তিকে দিয়েছিলেন। স্বভাবতই এখন প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি অবৈধভাবে বিভিন্ন সরকারি সংস্থাতে লোক ঢোকানোর নামে মনু সাহা সিন্ডিকেট চালাচ্ছিলেন ? এই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে বলে আশা ইস্পাত নগরীর বাসিন্দাদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here