নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ– একাধারে শিল্পাঞ্চল ও শহরের মধ্যে দিয়ে জাতীয় সড়ক চলে যাওয়ায় দুর্গাপুর শহর বরাবরই দূষণপ্রবণ। কিন্তু বর্তমানে এই শহরের দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে সম্প্রতি দেশজুড়ে করা দূষণ নিয়ে সমীক্ষায় দেশের মধ্যে সবথেকে বেশী ১১২ টি দূষিত শহরের মধ্যে উঠে এসেছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের নাম। বর্তমানে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের আশে পাশের বাতাস এতটাই সূক্ষ্ম ধূলিকণাতে ভর্তি যে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাদের। অনেকেই ভুগছেন শ্বাসজনিত নানা রোগে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে নড়চড়ে বসে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। এই শিল্প শহরের বায়ু দূষণের মাত্রা কমাতে ও শিল্পাঞ্চলের মানুষকে দূষণমুক্ত পরিবেশ দেওয়ার লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তারই অঙ্গ হিসাবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে দুর্গাপুর নগর নিগমের হাতে তুলে দেওয়া হল বৈদ্যুতিক চালিত চলমান ৪৯লক্ষ টাকার একটি অত্যাধুনিক যন্ত্র মিস্ট ক্যানন। এই যন্ত্রের মাধ্যমে পরিশুদ্ধ জল দিয়ে কৃত্রিম বৃষ্টি সৃষ্টি করে শিল্পাঞ্চলের সবচেয়ে বেশী দূষিত এলাকাগুলিতে দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনা হবে।
বৃহস্পতিবার এই যন্ত্রের উদ্বোধন করেন দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায় সহ দুর্গাপুর নগর নিগমের আধিকারিকরা। নগরনিগম সূত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যেই শহরের ৮ টি অতি দূষণপ্রবন এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে সিটিসেন্টার, অঙ্গদপুর, সগড়ভাঙ্গা, বেনাচিতি, মেনগেট, পাম্প হাউস। প্রসঙ্গত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বসানো হয়েছে সেন্সর। এই সেন্সরের মাধ্যমেই বোঝা যায় দূষণের গতিবিধি। এবার থেকে অতিরিক্ত দূষিত এলাকায় পৌঁছে যাবে অত্যাধুনিক যন্ত্রটি এবং এলাকা গুলিতে কৃত্রিম বৃষ্টি তৈরি করে বাতাস থেকে ধূলিকণা সরিয়ে দেবে। এই যন্ত্রটির মাধ্যমে শিল্পাঞ্চলের দূষণের মাত্রা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশাবাদী দুর্গাপুর নগর নিগম ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। অন্যদিকে বায়ু দূষণ রোধে এই অভিনব উদ্যোগে স্বভাবতই খুশি শহরবাসী।
