অমল মাজি, দুর্গাপুর :- পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে যখন করোনা রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে, গত দুইদিনে রেকর্ড সংক্রমণ, আসানসোলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বই মেলা বাতিল করা হয়েছে | ঠিক তখন দুর্গাপুর গ্যামন ব্রিজ সংলগ্ন ময়দানে কল্পতরু মেলা বাতিল করা হলো না | নতুন বছরের শুরুতে পশ্চিম বর্ধমান জেলাতে করোনার পরিসংখ্যান ভয়ঙ্কর হওয়া সত্বেও ১ জানুয়ারি মেলার উদ্বোধন করা হলো | অথচ এই পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেই ৩ দিনে আড়াই শতাধিক লোক সংক্রমিত হয়েছে |

অন্যদিকে বাংলায় আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে | আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। সমস্ত স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি বন্ধ থাকবে। সমস্ত প্রশাসনিক দপ্তর ফিফটি পার্সেন্ট কর্মী নিয়ে কাজ চালাতে পারবে এবং বাকিরা বাড়িতে বসে কাজ করতে পারবেন। বেসরকারি অফিস এর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম বলবৎ থাকছে। সুইমিংপুল, জিম, বিউটি পার্লার, সেলুন, এই ধরনের সমস্ত সংস্থা বন্ধ থাকবে | ইন্টারটেনমেন্ট, চিরিয়াখানা, টুরিস্ট প্লেস বন্ধ থাকবে। শপিংমল, মার্কেট কমপ্লেক্স ফিফটি পার্সেন্ট গ্রাহক ও কর্মী নিয়ে কাজ করা যাবে। সিনেমাহল থিয়েটার ফিফটি পার্সেন্ট দর্শক নিয়ে খোলা যাবে। মিটিং এবং কনফারেন্স এর ক্ষেত্রে ২০০ জন পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে অথবা সিটিং ক্যাপাসিটির অর্ধেক নিয়ে সভা করা যাবে। সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক যে কোন অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি একত্রে জড়ো হওয়া যাবেনা। বিয়েবাড়ির ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ ৫০ জনের ছাড় দেওয়া হয়। মৃতদেহ সৎকারে ২০ জন একত্রিত হতে পারবে। লোকাল ট্রেন ৫০% যাত্রী নিয়ে চলবে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত। মেট্রো সার্ভিস ফিফটি পার্সেন্ট যাত্রী নিয়ে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী চলবে। জনসাধারণের পাবলিক গ্যাদারিং, গাড়ি চলাচল, রাত ১০টা থেকে সকাল পাঁচটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে একমাত্র এমার্জেন্সি সার্ভিস ছাড়া।

দুয়ারে সরকার কর্মসূচি আপাতত স্থগিত, পিছিয়ে গেল ১ ফেব্রুয়ারি। কোভিড সিচুয়েশনে দোকানপাট খোলার ক্ষেত্রে চেম্বার অফ কমার্স বা ব্যবসায়ী সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোভিড বিধি মেনে স্যানিটাইজার ব্যবহারে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে দোকান খোলা যাবে। মাস্ক ছাড়া কোন খরিদ্দার প্রবেশ করতে পারবে না। কল কারখানা, চা বাগান বা অন্যান্য সংস্থা নিয়মিত স্যানিটাইজেশন করে এবং ডবল ভ্যাকসিন দিয়ে কাজ করাতে হবে কর্মীদের। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে আদেশ দেওয়া হয়েছে কোভিড পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা দ্রুত তৈরি রাখতে হবে। কারও কোভিড পজিটিভ থাকলে বা সিম্পটম থাকলে তাদের নিজ গৃহে আইসোলেশন এ থাকতে হবে এবং মনিটরিং করতে হবে। ৫০% ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইন ফেসিলিটি ব্যবস্থা তৈরি রাখা উচিত। কর্মচারী, ম্যানেজমেন্ট বডি, মালিক, সুপারভাইজার অব অফিস, এস্টাবলিশমেন্ট, কর্মক্ষেত্র সর্বত্র স্যানিটাইজেশন করে কাজ করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে যথাসম্ভব ঘরে থেকে কাজ করতে। হোম ডেলিভারি খাদ্য বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রে ছাড় থাকছে তবে প্রটোকল মেনে। সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। দূরত্ব বিধি মানতে হবে |