eaibanglai
Homeএই বাংলায়অবশেষে ডিএসপি'র কোয়ার্টারের লাইসেন্স স্কিমের প্রস্তাব ২০২২ প্রকাশিত

অবশেষে ডিএসপি’র কোয়ার্টারের লাইসেন্স স্কিমের প্রস্তাব ২০২২ প্রকাশিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- বেশ কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের স্টীল এমপ্লইজ ফোরাম অ্যান্ড ওয়েলফেরার সোসাইটির সদস্যরা লাগাতার গণবস্থান, বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের মাধ্যমে তাদের ন্যায্য অধিকার ইস্পাত কোয়ার্টারের লিজ ও সুদ সহ গ্রাচুইটির দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন। অভিযোগ সেইল কর্পোরেট, লেবার মিনিস্ট্রি, গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও দুর্গাপুর স্টীল প্ল্যান্ট ও অ্যালয় স্টীল প্ল্যান্টের প্রাক্তন কর্মীদের কোয়ার্টারের লিজ ও গ্রাচুইটি সুদ সহ ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। জীবনের শেষ বয়সে পৌঁছে কারখানার দেওয়া কোয়ার্টারেই থেকে গেছেন এই সব প্রাক্তন কর্মীরা। ফলে অবসরের সময় তাঁদের গ্রাচুইটির টাকা আটকে রাখা হয়। অথচ স্টীল অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের বিভিন্ন ইউনিটে কোয়ার্টার এবং গ্রাচুইটি সুদ সহ ফেরত দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত ডিএসপি ও এএসপির প্রাক্তন কর্মীরা।

এর আগে ২০২০ সালের ৫ফেব্রুয়ারী থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত টানা ৪৫ দিন আন্দোলন চালিয়েছিলেন অসরপ্রাপ্ত এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। আন্দোলন আরো দীর্ঘতর করার পরিকল্পনা থাকলেও কোভিড ১৯ মহামারীর জন্য ডেপুটি মেজিস্ট্রেট ও কর্তৃপক্ষের আবেদনে ও আশ্বাসে সেই সময় গণ অবস্থান বিক্ষোভ স্থগিত করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বৃদ্ধকালীন নানান শারীরিক অসুস্থতাকে সঙ্গে নিয়ে চলতি বছরে ফের পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন স্টীল প্ল্যান্টের প্রাক্তন কর্মীরা। ইতিমধ্যে অন্দোলনের ৮০ জন সহযোদ্ধা মারাও গেছেন।

অবশেষে স্টীল অথোরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের অধীনস্থ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের ‘ইস্পাত কোয়ার্টার লাইসেন্সিং স্কিম প্রস্তাব’ প্রকাশিত করল। সুত্র মারফত জানা গেছে ডিএসপি ও এএসপির অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মানবিক আবেদনের কথা মাথায় রেখে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর একাধিক কোয়ার্টার আবার লাইসেন্সিংয়ের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হবে বলে প্রস্তাব পেশ করেছে। ইতিমধ্যেই এই লাইসেন্সিং ইস্পাত কোয়ার্টারের প্রস্তাব ডিএসপি ও এএসপির সমস্ত শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার একটি সূত্র মারফত জানা গেছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ২০২২ এর ৩০ শে নভেম্বর অবধি সমস্ত ক্যাটাগরি মিলিয়ে ১৮,৯৮৪ টি কোয়ার্টার রয়েছে। যার মধ্যে কর্মরত ইস্পাত কর্মী আছেন ৫,৬৭২টি কোয়ার্টারে। ইতিপূর্বে লাইসেন্সিংয়ের প্রথা মাধ্যমে ৩,৮০৩ টি কোয়ার্টার, লিজিং প্রথা মাধ্যমে ৫,৭৫০ টি কোয়াটার ও বহিরাগতদের ১,১৪৩ টি কোয়ার্টার দেওয়া হয়েছে বসবাস করার জন্য । এখনও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা ১৩৬৬ ঘরে বসবাস করছেন, ও খালি পড়ে রয়েছে ১১৬০ টি কোয়ার্টার।

দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার একটি সূত্র মারফত জানা গেছে এই নতুন ‘ইস্পাত কোয়ার্টার লাইসেন্সিং স্কিম প্রস্তাব ২০২২’ এর অন্তর্গত তারাই আবেদন করতে পারবেন যারা ইস্পাত সংস্থা থেকে ০১,০৪,২০১৬ থেকে বা তারপরে অবসর গ্রহণ করেছেন। এই স্কিমের অন্তর্গত ১১ মাসের চুক্তি হবে, ভবিষ্যতে এই রকমই সময়ের জন্য তা নবীনকরণ করা হতে পারে সংস্থার দ্বারা। এই স্কিমের আবেদনপত্রের দাম হবে ৫০০০ প্লাস জিএসটি, ৩০ হাজার টাকার অগ্রিম (আরনেস্ট মানি ডিপোজিট) দিতে হবে। প্রতিমাসে লাইসেন্স ফি বাবদ ১১০০ টাকা, জল বাবদ ৭২ টাকা ও পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পর্ষদের ১০০০ ইউনিটের দাম সহ সার্ভিস চার্জ ৩২ টাকা ও সলিড ওয়েস্ট ডিসপোজাল ৭০ টাকা দিতে হবে। এই স্কিমের অন্তর্গত ক্যাটাগরি ওয়ান টাইপের কোয়ার্টারের (৪০০ স্কয়ার ফুট) ১,৫০,০০০ টাকা ‘মিনিমাম সিকিউরিটি ডিপোজিট’ দিতে হবে বলে শর্ত দেওয়া হয়েছে এই স্কিমের অন্তর্গত বলে জানা গেছে। এখন শুধু অপেক্ষা সমস্ত ইস্পাত শ্রমিক সংগঠন গুলির একমত হয়ে এই প্রস্তাব পাস হলেই, আবার দ্রুত শুরু হয়ে যাবে ‘ইস্পাত কোয়ার্টার লাইসেন্সিং স্কিম ২০২২’ বলে জানা গেছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সূত্র মারফত।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments