সংবাদদাতা, সিউড়িঃ- ডিভিসি র দেওয়া পুনবাসন প্যাকেজে মখের ওপর ‘না’ বলে দিল লোবা। যার ফলে নতুন করে খনি প্রকল্প নিয়ে অসন্তোষের সম্ভবনা। এর ফলে প্রস্তাবিত কয়লা খনি প্রকল্প নিয়ে ফের অস্বস্তিতে পড়তে পারে রাজ্য সরকারও।
বীরভূমের জয়দেব – খাগড়া কয়লা প্রকল্প নিয়ে টালবাহানা চলছে বেশ কয়েক মাস যাবৎই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে ওই প্রকল্প নিয়ে আশাবাদী হয়ে বলেছেন, পুর্বাঞ্চলের বৃহত্তম খনি প্রকল্প হচ্ছে এটি। কিন্তু, স্থানীয় কয়েকটি গ্রাম, মূলতঃ আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলি সরাসরি চাকরি ও পুনবাসনের দাবিতে অনড় মনোভাব দেখিয়ে আসছে। জেলা প্রশাসনের কয়েক দফার মধ্যস্থতা বৈঠকও ফলপ্রসু হয়নি। সোমবার খনির বরাত পাওয়া ডিভিসি কতৃপক্ষ একটি বৈঠকে নতুন করে জমিহারা গ্রামবাসীদের জন্য প্রস্তাব রাখে। জেলা শাসকের দপ্তরে জমা দেওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়- বাস্তুচ্যুতদের চাকরি নয়, ডিভিসি মাসে মাসে ভাতা দেবে। এতেই বেঁকে বসে “লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটি”। ডিভিসি কতৃপক্ষ সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয় কে দিয়ে ওই পুনবাসন প্যাকেজটি তৈরী করে। তাতে বাস্তুচ্যুতদের একর পিছু ১৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরন আর পরিবার পিছু মাসে দুই থেকে চার হাজার টাকার ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। আন্দোলন রত “লোবা কৃষিজমি রক্ষা কমিটি” কিন্তু গোড়া থেকেই জমির ক্ষতিপুরন ও চাকরির দাবিতে অনড়। তাই, ডিভিসির নয়া প্রস্তাবটি জেলা শাসক মৌমিতা বসু গোদারার দপ্তরে আসামাত্র তা খারিজ করে দেয় কৃষকদের কমিটি।
লোবায় জয়দেব – খাগড়া খোলামুখ খনির জন্য ৩৬০০ একর জমি চিনহিত হয়। সেখানে মজুত আছে ১৯৬ মিলিয়ন টন কয়লা সঞ্চয়। সেই ২০১২ সালে থেকেই অনিচ্ছুক চাষীদের একটি বড় অংশ প্রকল্পের বিরোধিতা করছেন, উপযুক্ত ক্ষতিপূরনের আশ্বাস না পাওয়ায়।