সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ- ছেলের প্রেম সংক্রান্ত বিষয় মেনে নিতে পারায় বাবার হাতে খুন হল ছেলে। ছোট বোনের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত পছন্দের পাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার কথা ছেলেকে বলেছিল বাবা। কিন্তু তা সত্বেও ছেলে প্রতিদিন ফোনে তার প্রেমিকার সাথে কথা বলত। যার জেরে ক্ষিপ্ত বাবার হাতে খুন হতে হল ছেলেকে। অন্যদিকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ব্যাপক ভাবে আহত হয় ছেলের মা। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী থানার হামিদপুর গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ছেলেটির নাম আলিমঊদ্দিন সেখ (২২)। স্থানীয় সুত্র মারফৎ জানা যায়, ছোট বোনের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত পছন্দের পাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার কথা আলিমঊদ্দিন কে বলেছিল তার বাবা আব্দুল সালেক। বেশ কিছুদিন আগেই আলিমউদ্দিনের সাথে পাশের গ্রাম খড়দত্তপাড়ার এক তরুণীর সঙ্গে ভালবাসার সম্পর্ক তৈরী হয়। তাঁরা নিজেদের সাথে প্রায়শই ফোনে কথাবার্তা বলত। আলিমউদ্দিন জানিয়েছিল তার ছোট বোনের বিয়ের আগেই সে ওই তরুণীকে বিয়ে করবে। খুন হওয়ার দিনও আলিমউদ্দিন তার প্রেমিকার সাথে ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে। আলিমউদ্দিনের বাবা বিষয়টি জানতে পারায় অশান্তি চরমে ওঠে। অশান্তির কারনে আলিমউদ্দিন সেদিন অনেকক্ষন বাড়ির বাইরে ছিল। পরে সে বাড়িতে আসতেই আব্দুল সালেক আচমকা ছেলের ঘরে ঢুকে আলিমউদ্দিনের পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সেখানেই আলিমউদ্দিন প্রান হারায়। ওই সময়ে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মা রেজিনা বিবিও আহত হন। এরপরে লোক জানাজানি হতেই আব্দুল সালেক বাড়ি ছেড়ে পলাতক হয়।
এরপরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলিমউদ্দিনের রক্তাত্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। খুনে ব্যবহৃত ছুরিটিও পুলিশ উদ্ধার করে। ইতিমধ্যেই আলিমউদ্দিনের মা রেজিনা বিবি ছেলের খুনের ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস জানিয়েছেন, “খুনের মামলা রুজু করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, অভিযুক্তদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে”। অন্যদিকে একমাত্র ছেলেকে বাবার হাতে নৃশংস খুনের ঘটনায় গভীর ভাবে শোকাহত হামিদপুর গ্রামবাসী।