মুর্শিদাবাদ ট্রিপল মার্ডার কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার,তবুও জিইয়ে রহস্য

602

সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদ:-


জিয়াগঞ্জ ট্রিপল মার্ডার কাণ্ডে সপ্তাহ খানেক পরে মঙ্গলবার বড়সর ব্রেক থ্রু এল তাদন্ডকারী দলের হাতে। আর তাতেই মুর্শিদাবাদে সপরিবারে শিক্ষক খুনের ঘটনার সাথে যুক্ত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হল পেশায় এক রাজমিস্ত্রি উৎপল বেরা কে।আর এতেই উলটপালট হয়ে গেল যাবতীয় হিসেব-নিকেশ।কার্যত ওই শিক্ষকের সাথে অর্থ লগ্নি সংস্থায় টাকা লগ্নি নিয়ে বিবাদের জেরেই এই খুন বলেই জেলা পুলিশ সুপার শ্রী মুকেশ সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট জানিয়ে দেন।সেই সঙ্গে ঘটনায় মূল চক্রী সাগরদিঘির বারালার সাহাপুর গ্রামের পেশায় রাজমিস্ত্রি উৎপল বেহেরা নামে এই যুবক কে গ্রেফতারের কথাও জানান তিনি।সোমবার রাতে শিক্ষকের গ্রামের বাড়ির ।
এলাকা থেকে ওই ৩ জন কে নৃশংস খুনের অভিযুক্ত উৎপল কে গ্রেফতার করে পুলিশের বিশেষ দল।ধৃত কে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে লালবাগ এডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হলে বিচারক তাকে ২৮অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বলেই বলেই শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়।

এদিকে ৭ পর এই জিয়াগঞ্জ খুন কাণ্ডের ঘটনায় বেরিয়ে এল একাধিক তথ্যও।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি অর্থ লগ্নি সংস্থায় পলিসির মাত্র ২৫হাজার টাকা জমা দেওয়া নিয়ে উৎপলের সাথে বন্ধু প্রকাশের বিবাদ নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে খুন করা হয়েছিল শিক্ষক বন্ধু প্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল এবং শিশু সন্তানকে। এর আগে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল পুলিশ। যার মধ্যে ছিল এই উৎপল বেহেরাও।

পুলিশ সুপার জানায়,ধৃত জেরায় স্বীকার করেছে সে একাই দোকান থেকে হাঁসুয়া কিনে নিয়ে গিয়ে জিয়াগঞ্জে তার দিদির বাড়ীতে পুজোর সময় কয়েকটা দিন কাটিয়ে সেখানে বসেই এই খুনের ব্লু-প্রিন্ট বানিয়ে ওই শিক্ষক পরিবারের ৩জনকে একাই কুপিয়ে খুন করে । প্রসঙ্গত,ঘটনার পরে আটক করা হয়েছিল ওই শিক্ষকের বাবা,ওপর এক বন্ধুকেও।পাশাপাশি পুলিশ দুধ বিক্রেতা রাজীব দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে। রাজীব পুলিশকে জনায়, প্রতিদিনের মতো দশমীর দিন দুধ দিতে গিয়ে দরজা ঠেলতেই খাটের ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুপ্রকাশ পালকে পড়ে থাকতে দেখেন। সেই সময় চিৎকার করে উঠতেই, কালো গেঞ্জি ও প্যান্ট পরা এক ব্যক্তি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।শিক্ষক যে আর্থিক লেনদেনে জড়িয়ে পড়েছিলেন তারও প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর উৎপল জেরায় দাবি করেছে, বন্ধু প্রকাশ পাল টাকা নিয়ে তাকে বহুবার কুৎসিৎ ভাষায় অনেকবার ভৎসনাও করেছে।যার জেরেই অপমানে প্রতিশোধ স্পিহা থেকেই সে এই খুনের সিদ্ধান্ত পাকাপাকি ভাবে নিয়ে নেয়।নবমীর গভীর রাত পর্যন্ত ছয়বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে খুন হয়ে যাওয়া ওই প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল এবং তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল ঠাকুরও দেখে। এরপর দশমীর দিন ঘর থেকে ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় ৩জনের।তবে এখানেই শেষ নয় অভিযুক্তের মা কান্তা বেরা বলেন,”আসল দোষী কে আড়াল করতেই আমার ছেলেকে ফাঁসানো হল।রহস্য অনেক চাপা আছে”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here