নিজস্ব সংবাদদাতা, পানাগড়:- সংগীত জগতে আশাই ছিল তার একমাত্র ইচ্ছা কিন্তু তার বাবা চাইনি যে মেয়ে গান শিখুক চেয়ে ছিলেন সে যেন এক প্রতিষ্ঠিত ড্রাম প্লেয়ার হয়। তাই সেই ছোট্ট ছোট্ট হাতে পাঁচ বছর বয়সেই শুরু করে ড্রাম বাজানো। প্রথম প্রথম তপন পাল এর কাছে ড্রাম বাজাতে গিয়ে স্নেহা অনুভব করে যে দুটি হাত ও দুটি পা সমানতালে চালাতে হবে তবেই এই শব্দযন্ত্র থেকে বেরোবে মনমাতানো সংগীতের সুর। নিরন্তর অনুশীলন ও তপন পালের চেষ্টায় স্নেহা দাস আজ এক বিখ্যাত ড্রাম প্লেয়ার। অল্প বয়সেই তিনি নিজে এক ব্যান্ড তৈরি করে ফেলেছেন। রাজ্যের তথা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করে সুনাম অর্জন করেছেন। এই অল্প বয়সেই স্নেহা দাস সম্প্রতি কলকাতার এক মিউজিক অ্যালবামে মুখ্য ড্রাম বাদক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। স্নেহা দাস পানাগড় এর রামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যাপীঠ আপাতত অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছেন। সংগীত চর্চার সাথে সাথে সে একজন ডাবলু.বি.সি.এস অফিসার হতে চান। বাবা সুভাষ দাস ও মা সোমা দাসের একান্ত ইচ্ছেতেই মেয়ে আজ এক সফল ড্রাম বাদক। তাদের স্বপ্ন মেয়েকে ড্রাম বাদক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, আর সেই লক্ষ্যে তারা তাকে প্রশিক্ষিত করে চলেছেন। বাবা-মায়ের স্বপ্নকে সফল করার লক্ষ্যে স্নেহা এগিয়ে যাচ্ছে এবং রাজ্যজুড়ে নাম অর্জন করেছে সে এক মহিলা ড্রাম বাদক হিসেবে।